কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আড়াই শতাধিক ঝুপড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তানজিমারখোলা ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি–৩ ব্লকের কাঁঠাল গাছতলাস্থ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২০টি ঝুপড়ি ঘর, ২৫টি দোকান, ৪৫টি টয়লেট, ১টি এনজিও (কারিতাস বাংলাদেশ) অফিস, ১টি মসজিদ, ১টি শিশুবান্ধব কেন্দ্র ও ১টি কমিউনিটি স্পেস। পাশাপাশি স্থানীয়দের ২টি ঘর পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর ৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
রোহিঙ্গা হালিমা বেগম বলেন, কীভাবে আগুন লাগে আমরা বুঝতে পারিনি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ঘর থেকে বের হয়ে পড়ি। রোহিঙ্গা আব্দু শুক্কুর বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়েই একদল দুর্বৃত্ত বাড়িঘরে লুটপাট চালায়।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কামাল হেসেন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট দুপুর একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সহযোগিতা করেন। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় রোহিঙ্গারা। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আগুনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি স্থানীয়দের ২টি পুড়ে গেছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু–দৌজা নয়ন বলেন, তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারে হঠাৎ আগুনে লাগে। এরপর মুহুর্তেই তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হলে প্রথমে তাদের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও ২টি ইউনিট এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।