ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা, যে অভিজ্ঞতার কথা জানালেন প্রিন্সেস কেট

| বৃহস্পতিবার , ৩ জুলাই, ২০২৫ at ৫:০১ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অব ওয়েলস, ক্যাথরিন গতকাল বুধবার ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার অভিজ্ঞতাকে রোলার কোস্টার যাত্রার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি জানান, এই লড়াইয়ে তাকে অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করতে হয়েছে। লন্ডন থেকে এএফপি জানায়, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট, গত বছরের মার্চে জনসমক্ষে জানান যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, যদিও নির্দিষ্ট করে তিনি রোগের নাম উল্লেখ করেননি। প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি গ্রহণের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি জানান যে তিনি রেমিশনে আছেন এবং ধীরে ধীরে পুনরায় রাজকীয় দায়িত্বে ফিরছেন। বুধবার ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় কলচেস্টার হাসপাতালের একটি ক্যানসার সহায়তা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে ৪৩ বছর বয়সী প্রিন্সেস রোগী, স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এটি একটি রোলার কোস্টার, আপনি ভাববেন এটা সোজা পথে এগিয়ে যাবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। তিনি যোগ করেন, আপনাকে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের একটি স্থান, যেখানে হোক তা গানের মাধ্যমে, সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা বাগান করার মতো কাজের মাধ্যমে সহায়তা পাওয়া যায়, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কমিউনিটিতে এমন সুযোগ থাকা সত্যিই দারুণ। খবর বাসসের।

ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা রোগীদের মানসিক অবস্থার কথাও উল্লেখ করে কেট বলেন, অনেক সময় আমরা সাহসী মুখাবয়ব পরে থাকি, মনের কষ্ট লুকিয়ে চরম ধৈর্যশীলের আচরণ করি, কিন্তু চিকিৎসা শেষের পরবর্তী পর্যায়টিই সবচেয়ে কঠিন। তখন আপনি আর চিকিৎসকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নন, আবার আগের মতো স্বাভাবিকভাবে বাড়িতেও চলাফেরা করতে পারেন না। প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে কেটের তিনটি সন্তান রয়েছে। গত মাসে, পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় থাকা অবস্থায় তিনি রয়্যাল অ্যাসকট ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান। এদিকে কেটের শ্বশুর ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসও ২০২৪ সালের শুরুতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান। তিনি এখন রাজকীয় দায়িত্বে ফিরে এলেও এখনও চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হলে কঠোর ব্যবস্থা
পরবর্তী নিবন্ধইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খলিলুর রহমান