কোর্ট হিলে সরকারি খাস জমিতে জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক বৃক্ষকর্তন ও অবৈধভাবে বহুতল ভবনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধকরণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া এ চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের ভিত্তিতে কোর্ট হিলে নতুন কোনো ভবন নির্মাণ না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগ বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছ। এক স্মারকে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভোর রাত থেকে পাহাড় শ্রেণির সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে নির্বিচারে গাছ কাটা এবং প্রচলিত আইন কানুন বিধি বিধান উপেক্ষা করে নতুন ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কোর্ট হিল এলাকায় জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক বৃক্ষকর্তন ও অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ অনভিপ্রেত। চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘একুশে ভবন’ নামক ওই অবৈধ ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য এবং ইতোপূর্বে নির্মিত অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ (ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক চিহ্নিত) ভবনগুলো অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম কর্তৃক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায়, বর্ণিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে বাংলানিউজকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, আমরা চিঠি পেয়েছি। পরির পাহাড়ে গাছ কর্তন ও স্থাপনা বন্ধে সরকারের নির্দেশনা পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।