আসন্ন ঈদুল আজহায় নগরে জবাইকৃত কোরবানির পশুর বর্জ্য সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এ লক্ষ্যে নগরের ৪১ ওয়ার্ডকে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম চারটি জোনে ভাগ করে চলবে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম। জোনগুলোর দায়িত্ব পালন করবেন চারজন কাউন্সিলর। সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি করবেন চসিকের বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সভা সূত্রে জানা গেছে, উত্তর জোনের অধীনে এক থেকে আট নম্বর এবং ১৫ ও ১৬ নম্বর ওর্য়াড অন্তর্ভুক্ত। জোনটির দায়িত্ব পালন করবেন চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এসারুল হক। দক্ষিণ জোনের অধীনে ২৩, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত। জোনটির দায়িত্ব পালন করবেন উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবদুল বারেক।
পূর্ব জোনের অধীনে-১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত। জোনটির দায়িত্ব পালন করবেন জামাল খান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। পশ্চিম জোনের অধীনে ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত। জোনটির দায়িত্ব পালন করবেন দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। চারটি জোনের তত্ত্বাবধানে থাকবেন বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী। এদিকে গতকালের সভায় সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কোরবানির ঈদে ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে নগরীতে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। অতীতেও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে কর্পোরেশনের সুনাম ছিল। এ সুনাম রক্ষা করতে হবে।
এসময় মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নগরীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করতে যত ধরনের সহায়তা লাগে তা করা হবে বলে ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে আবর্জনা পরিষ্কারে কোন গাফেলতি বা অজুহাত মানা হবে না বলেও জানিয়ে দেন। তিনি সভার শুরুতে বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রস্তুতি, সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত লোকবল ও গাড়ি সংগ্রহে আছে কিনা জানতে চান।
তখন উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কোন সমস্যা হবে না। করোনার সীমিত বিধি নিষেধের কারণে সড়কে যান চলাচল কম তাই পরিচ্ছন্ন কাজে কোন সমস্যা হবে মনে হয় না।
তিনি চাহিদা তুলে ধরে বলেন, আবর্জনা পরিষ্কারে ১৮৮টি ডাম্প ট্রাকসহ ২১০ থেকে ২১৫টি গাড়ি লাগবে। ৪০টি ওয়াকিটকি লাগবে। কারণ কেন্দ্রীয়ভাবে আবর্জনা পরিষ্কারে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওয়াকিটকির কোন বিকল্প নেই। তিনি ওয়ার্ড পর্যায়ে কন্টেনার মুভার ও পর্যাপ্ত টমটম গাড়ি সরবরাহ করতে হবে। অন্যথায় আবর্জনা পরিষ্কারে সমস্যা হবে বলে জানান।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, কোন সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করে ফেলতে হবে। কোনোভাবেই নির্দিষ্ট সময়-সীমার বাইরে বর্জ্য অপসারণ করা যাবে না। এ ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।