সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানির মত একটি একদিকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত, অপরদিকে অন্যতম ধর্মীয় একটি উৎসব থেকে নিজেকে বঞ্চিত করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর গোশত, রক্ত কিছুই পৌঁছে না। পৌঁছে শুধু বান্দার ‘তাকওয়া’। লোক দেখানো কোনো ইবাদাতই কবুল হয় না এবং সবচেয়ে জঘন্যতম জুলুম তথা শিরক হিসেবে গণ্য হয়। কোরবানির ক্ষেত্রেও একই হুকুম। অনেক ব্যক্তি আছেন যারা সামর্থ্য থাকার পরেও তাকওয়া থেকে নয় বরং ব্যবসায়–চাকরির সহকর্মী, পাড়া–পড়শী কোরবানি না করলে সমালোচনা করবে এই চিন্তা থেকে কোরবানি করে থাকেন, তাদের কোরবানিও শিরক বলে গণ্য হবে। তাই, আমরা যারা বিত্ত এবং চিত্তের অধিকারী তাদের খুশি মনে পরিপূর্ণ তাকওয়ার সাথে কোরবানি করা উচিত। শুধু পশু দিয়ে কোরবানি নয়, পশু কোরবানির সাথে সাথে আমাদের ভিতরকার পশুত্বকেও কোরবানি দিতে হবে। সর্বোৎকৃষ্ট জন্তু জবাই করার মাধ্যমে যেমন আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করি, তেমনি ইসলামের প্রয়োজনে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারের মনোবৃত্তি মনের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে।