‘কোনো কৌশলেই’ সিটি নির্বাচনে নেই বিএনপি : ফখরুল

| রবিবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

যে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল হয়েছে, তার কোথাও ‘কৌশল করে’ বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপির গতবারের প্রার্থীর ভাতিজার ‘স্বতন্ত্র’ পরিচয়ে মনোনয়নপত্র জমা এবং আরও কয়েকটিতে দলের নেতাদের অংশ নেওয়ার প্রস্তুতির খবর আসার পর এমন প্রতিক্রিয়া দিলেন ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি যে, কোনো রকমের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি যে, এখানে মেয়র নির্বাচনই বলেন বা কমিশনার নির্বাচনই বলেন, এখানে আমাদের দলের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না। খবর বিডিনিউজের। গতকাল শনিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান দলের মহাসচিব। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি গাজীপুরসহ পাঁচটি সিটি নির্বাচনেই প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে সিলেট, গাজীপুর ও বরিশালে দলটির সঙ্গে সম্পৃক্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। খুলনাতেও বিএনপির গতবারের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ভোটে দাঁড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগকে ‘ফাঁকা মাঠে গোল’ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিৎ নয়। কেবল রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত বিএনপির কারও প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতির বিষয়টি জানা যায়নি। এর মধ্যে সবার আগে ভোট হতে যাওয়া গাজীপুর স্বতন্ত্র পরিচয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ভাজিতা সরকার শাহনুর ইসলাম রনি।

চট্টগ্রাম৮ আসনের উপনির্বাচনে ১৪ শতাংশ ভোট পড়া নিয়েও কথা বলেন ফখরুল। তিনি মনে করেন, নির্বাচনের উপর আস্থা হারিয়ে কেন্দ্রবিমুখ হয়েছে মানুষ। তিনি বলেন, নির্বাচনগুলোতে জনগণ অংশগ্রহণ করছে না, ভোটাররা কেন্দ্রে যাচ্ছে না। সম্প্রতি যে ভোট হয়ে গেলো (চট্টগ্রামে উপনির্বাচন) সেই ভোটে মাত্র মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গেছে। সুতরাং জনগণ বোঝে, গোটা বিশ্ব বোঝে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেও অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধবংস করে তাদের পুরনো ‘লক্ষ্য’ সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালের মতো একটা শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই লক্ষ্যে তারা ২০১৪ সালে নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে একটা প্রহসনে পরিণত করে, জনগণ তাতে ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট করে জোর করে তারা ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানেও অংশগ্রহণ করেনি। বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও মনে করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, তারা সেই ভাবমূর্তি তৈরি করতে চায়।

জনগণ এবার ‘জেগে উঠেছে’ মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণ এদেরকে পরাজিত করবে এবং সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়ক দুর্ঘটনার সমন্বিত ডাটা ব্যাংক নেই 
পরবর্তী নিবন্ধস্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া