আয়োজন করে কষ্ট দেওয়া হয়নি কখনোই
বরং প্রতি কদমে হিসেব কষা হয়–
কীভাবে আরও একটু ভালো রাখা যায়,
আরও একটু বেশি সুখ ছুঁইয়ে দেওয়া যায়
তার সমস্ত ক্লান্তি জুড়ে।
তবু ভুল হয়ে যায়, জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে।
কারণ এই হৃদয়টাও যে রক্তমাংসের–
মানুষ তো দেবতা নয়, ভুলের ঊর্ধ্বেও নয় কেউ
কেবল ভালোবাসার গহন চেষ্টায়
প্রতিদিন নিঃশেষ হয়ে যাওয়া এক সত্তা।
তাই বলে, কেন সব দাবি তুলে নিতে হবে, কেন
ফিরিয়ে দিতে হবে সমস্ত অধিকার?
অধিকার ছেড়ে দেওয়া মানে তো–
আমাকেই ছেড়ে দেওয়া;
‘আর কোনো দাবি নেই’ মানে তো–
আমারই মরণ–ঘোষণা!
ভালোবাসাহীন জীবন সেতো জীবনই নয়;
অধিকারহীন ভালোবাসাই
অদৃশ্য বিষবাষ্প ভরা এক নির্বাক শূন্যতা।
যে ভালোবাসায় প্রশ্ন থাকে না, দাবি থাকে না,
হারানোর ভয় থাকে না
সে তো কেবল নিঃস্পন্দ এক ছায়া,
নীরবতা ছুঁয়ে থাকা কোনো এক প্রয়াত পাখির ডানা।
ভালোবাসা মানে তো প্রার্থনার মতো অধিকার চাওয়া,
ভালোবাসা মানে হবে–চোখের দৃষ্টিতে সমস্ত
অদৃশ্য প্রত্যাশার ভাষা খুঁজে পাওয়া। ভালোবাসা মানে
শুধু সাথে থাকা নয়, থাকার দায় নেওয়াও বটে।







