সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত ও দগ্ধ হয়ে গতকাল পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, প্রায় একশ জন রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮২ জন। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
কোন হাসপাতালে কত ভর্তি : আহত ও দগ্ধদের মাঝে গতকাল পর্যন্ত ১৪ জন রোগীকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আইসিইউতে একজনসহ চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মোট ১৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। আইসিইউতে ২ জনসহ বর্তমানে ১২ জন রোগী ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম। তিনি জানান, মোট ১৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।
এর মাঝে একজনের মৃত্যু হয়। আর ৫ জন রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ১২ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন। এর মাঝে ২ জন আইসিইউতে। আহত অন্যান্য রোগী ভর্তি রয়েছেন চমেক হাসপাতালে। দগ্ধ ও আহত শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। এর মাঝে ২ জন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন বলেও জানান হাসপাতাল পরিচালক।
এদিকে, শুধু বার্ন ইউনিটেই ৪২ জন রোগী চিকিৎসাধীন জানিয়ে বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল পর্যন্ত ৪৭ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মাঝে ৫ জন রোগী ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ৪২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন রোগীদের শরীরের ৫ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ বলেও জানান তিনি। বার্ন ইউনিটের বাইরে সার্জারি বিভাগে ২৬ জন, চক্ষু বিভাগে ১৩ জন ছাড়াও অর্থোপেডিক, নিউরোসার্জারি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগেও আহত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রাজিব পালিত। অন্যদিকে, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের অধিকাংশই সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।