কোন দেশে ধর্ষণের কি সাজা

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ৮ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

সামপ্রতি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে করোনার মতো মহামারি আকার ধারণ করেছে ধর্ষণ। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বর্তমানে দেশের অন্যতম প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ অপরাধের বিভিন্ন রকম শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ : বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন।
চীন : ধর্ষকের জন্য চীনে সর্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। তবে এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর অভিযুক্ত নির্দোষ ছিল এমনও দেখা গেছে। আরেকটি শাস্তি রয়েছে পুরুষাঙ্গচ্ছেদ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত : সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সৌদি আরব : ধর্ষণের জড়িত থাকলে প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়।
ফ্রান্স : ধর্ষণের শাস্তি ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ঘটনায় ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।
আফগানিস্তান : আদালত রায় দেওয়ার চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় কিংবা ফাঁসি দেওয়া হয়।
উত্তর কোরিয়া : ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো হয়। অপরাধীকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়।
ইরান : শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর মেরে কার্যকর করা হয়।
মিসর : মিসরে এখনো অনেক অপরাধে মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা থাকলেও ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি।
ইসরায়েল : দোষ প্রমাণ হলে ১৬ বছরের কারাদণ্ড। সে দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা কিছুটা বর্ধিত। অন্য যৌন নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত। রাশিয়া : ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ড। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র : স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের কারাদন্ড থেকে যাবজ্জীবনও হতে পারে।
মঙ্গোলিয়া : ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় দেশটিতে।
নরওয়ে : সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনার অভিঘাত ঢাকঢোল মেরামত করে সময় পার
পরবর্তী নিবন্ধনগরীতে ১২ হাজার ইয়াবা জব্দ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩