চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে মামলা ও ৫ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই কর্ণফুলীর শাহ সেতুর শিকলবাহা এলাকায় দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেন। ওই সময়ে মামলার আসামিরা গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তায় যান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন নাশকতা করেন। ওই সময়ে ১৭টি ইটের টুকরো, ১০টি গাছের লাঠি, ১৩টি গাড়ির গ্লাসের ভাঙা টুকরা, ৫টি লোহার রড উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত ২৯ জুলাই কর্ণফুলী থানার এসআই (নিরস্ত্র) সেকান্তর মিয়া বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৮০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন – জসিম উদ্দিন ৪২, আবুল কালাম (৩৮), সাদ্দাম হোসেন (২৬), সাখাওয়াত হোসেন মিশু (২৭), মো. আতাউল্লাহ (৩০), জসিম উদ্দিন জুয়েল (৩৭), আকিব জাবেদ (৩০), হাসমত আলী (৩৩), ইলিয়াস মেম্বার (৩৮), কামরুদ্দিন সবুজ (৩২), মাঈন উদ্দিন মনির (৩৮), ওয়াসিম (৩৫), মো. সালাউদ্দিন (৩২), আংকুর মেম্বার (৪০), আবদুল কাদের (৩৫), আবদুল আউয়াল হাসান (২৪), ইলিয়াস (৩৫) এবং ইব্রাহিম (৩৫)। তারা সকলেই কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ও বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৩জন এবং অজ্ঞাত ২জনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।