চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া ভেল্লাপাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক দেবে গেছে। প্রায় দেড় মাস পূর্বে পূর্ব–পশ্চিমে সেতুর পূর্বাংশের সড়কের প্রায় ৮০ ফুট জায়গা দেবে যায়। ফলে মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহন ঝুঁকি নিয়ে সড়কের এক পাশ ব্যবহার করে চলাচল করছে। দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে দেবে যাওয়া অংশে বালির বস্তা ও লাল ফিতা টেনে বিশেষ ব্লক তৈরি করে রেখেছে সড়ক বিভাগ। যাতে চলাচলরত গাড়ির চালকদের দেবে যাওয়া অংশটি চোখে পড়ে। ওই স্থানে গেলেই গাড়িগুলো গতি কমিয়ে সাবধানে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগেও ওই স্থানে সড়কটি দেবে গিয়েছিল। এরপর সড়ক বিভাগ সেই অংশে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করে। এরপরও একই স্থানে বারবার দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, এতে সেতুর কোনো ক্ষতি হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে সড়কটি দেবে গেছে। গতকাল বিকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিনুল্লাহ্ নুরী এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল হোসেন ভেল্লাপাড়া সেতুর সংযোগ সড়কের দেবে যাওয়া অংশ পরিদর্শনে যান। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রধান কার্যালয়ের সেতু ডিজাইন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন সাইট পরিদর্শন করেন বলে জানা যায়। ওই সময় সড়ক বিভাগের চট্টগ্রাম জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর পূর্বে ওই অংশে সড়ক দেবে গিয়েছিল। এরপর দেবে যাওয়া অংশে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করে দেয় সড়ক বিভাগ। কিন্তু রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করার পরও কেন আবার একই স্থানে দেবে গেল তা বোঝা যাচ্ছে না। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ আজাদীকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে ভেল্লাপাড়া সেতুর সংযোগ সড়কের পূর্বাংশের মাটি দেবে গেছে। তবে এতে সেতুর কোনো সমস্যা হয়নি। মহাসড়ক হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীঘ্রই দেবে যাওয়া অংশের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগ তা সংস্কার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।