চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগের ফাইনালে উঠেছে কেকেআরসি এবং আম্বিয়া স্পোর্টস। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর কেকেআরসি ১১ রানে টুয়েন্টি ইভেন্টজ গ্রুপকে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টি বাগড়া বসালে শেষ পর্যন্ত কার্টেল ওভারের ম্যাচে ডি/এল এস মেথড়ে এনএইচটি স্পোর্টসকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয় আম্বিয়া স্পোর্টস। ফলে আগামীকাল অনুষ্ঠেয় ফাইনালে মুখোমুখি হবে কেকেআরসি এবং আম্বিয়া স্পোর্টস।
প্রথম সেমিফাইনালে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে কেকেআরসি। দুই ওপেনার ২৪ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন। ১২ রান করে ফিরেন ফারদিন। দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ রান যোগ করেন তৌসিফ এবং তালহা। ১৯ রান করে ফিরেন তৌসিফ। আর ২০ রান করে ফিরেন তালহা। শুরুর দিকের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল কেকেআরসি বড় স্কোর গড়তে পারবেনা। তবে তানভীরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বদলে গেল চিত্র। আকিব আলি এবং তানভীর সাদাতের দুই ওভার থেকে ৪০ রান তুলে নিয়ে দলের স্কোরকে ১৫১ রানে পৌছে দেন তানভীর। ৩৪ বলে ৭২ রান করেন তানভীর। টুয়েন্ট ইভেন্টজ গ্রুপের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন সাজ্জাদ, তাজুল, শাহাদাত এবং তানভীর সাদাত। ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুন করেছিল টুয়েন্টি ইভেন্টজ। দারুণ ব্যাটিং করছিলেন সাজ্জাদ । কিন্তু মাত্র এক রানের ব্যাবধানে ফিরেন দুই ওপেনার। ১৮ বলে ২৯ রান করে ফিরেন সাজ্জাদ। তৃতীয় উইকেটে জিসান এবং তাজুল মিলে ৩২ এবং চতুর্থ উইকেটে জিসান এবং রুবায়েত মিলে যোগ করেন ৪৬ রান। তবে এজুটি ভাঙ্গার পর আর দাঁড়াতে পারেনি টুয়েন্টি ইভেন্টজের ব্যাটাররা। ১৪০ রানে থামে তাদের ইনিংস। দলের পক্ষে জিসান ৩৫, তাজুল ২২, রুবায়েত ১৮ এবং সাদমান করেন ১৬ রান। কেকেআরসির পক্ষে ৩টি উইকেট নেন রিফাত। ২টি নিয়েছেন সোহেল। কেকেআরসির তানভীর ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কেকেআরসির কর্মকর্তা হাবিবা আজম। এসময় টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য রোকসানা আলম উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের শুরুটা ভালই হয়েছিল। যেখানে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল আম্বিয়া স্পোর্টস।
শুরুতেই উইকেট হারালে পরের ব্যাটাররা বেশ ভালই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৮ ওভারে দলের রান যখন ৫৬ তখন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় দলেল পক্ষে সাব্বির ২২ বলে ২৭ এবং বাপ্পা ১০ বলে করেন ১৭ রান। প্রায় দুই ঘণ্টা ছয় মিনিট বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল। বিকেল ৪ টা ১৩ মিনিটে যখন খেলা শুরু হয় তখন আর ব্যাট করার সুযোগ ছিলনা আম্বিয়া স্পোর্টসের। তখন বৃষ্টি আইনে এনএইচটি স্পোর্টসের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৬২ রানের। কিন্তু সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় এনএইচটি। ১২ রান করে ফিরেন হৃদয়। তৃতীয় ওভারে সাঞ্জু এবং রিপনকে হারায় এনএইচটি। চতুর্থ ওভারে আজাদকে এবং পঞ্চম ওভারে রতন এবং ইমরানকে হারিয়ে চাপে পড়ে এনএইচটি। তারপরও ম্যাচ নাগালেই ছিল তাদের। কিন্তু শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল এনএইচটির। কিন্তু সৌরভ এবং তন্ময় সেটা নিতে পারেনি। ফলে ৪ রানে হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় এনএইচটি স্পোর্টসকে। দলের পক্ষে ১২ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন মিনহাজ সৌরভ। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আম্বিয়া স্পোর্টসের শহীদুল ইসলাম। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্পন্সর সিকো অ্যারিনার ডিরেক্টর ইশমাম চৌধুরী এবং সিজেকেএস কাউন্সিলর রায়হান উদ্দিন রুবেল।