কৃষ্ণসাগরে নেটো-ইউক্রেন সামরিক মহড়া

পাল্টা এস-৪০০ পরীক্ষা রাশিয়ার

| বৃহস্পতিবার , ১ জুলাই, ২০২১ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

কৃষ্ণসাগরে যুক্তরাষ্ট্রসহ নেটো দেশগুলোর সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক মহড়া চলার মধ্যেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার ইন্টারফ্যাঙ বার্তা সংস্থা মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। নেটোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ার মধ্যেই মস্কোর আপত্তি উপেক্ষা করে সোমবার থেকে ‘সী ব্রিজ ২০২১’ নামে দুই সপ্তাহের এই মহড়া শুরু করেছে ৩০ দেশ। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া দখলকৃত ক্রিমিয়া থেকে পাল্টা এস-৪০০ পরীক্ষা চালিয়ে সতর্কবার্তা দিল। খবর বিডিনিউজের।
কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার রণতরী বহরের বরাতে ইন্টারফ্যাঙ জানিয়েছে, মহড়ার পাল্টায় নিজেদের শক্তির প্রস্তুতির পরীক্ষায় এস-৪০০ এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ প্রায় ২০টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের পাশাপাশি এসইউ-২৪এম বোমারু বিমানও মোতায়েন করা হয়েছে। ৩০টির দেশের সামরিক মহড়া এবং তাদের জাহাজগুলোর গতিবিধি রাশিয়া পর্যবেক্ষণ করছে বলেও দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের আলাদা একটি বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে ইন্টারফ্যাক্স। কৃষ্ণসাগরের মহড়ায় অংশ নেওয়া দেশগুলোর ৫,০০০ সামরিক সদস্য অংশ নিচ্ছে। তাছাড়া, প্রায় ৩০টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৪০টি বিমানসহ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী মার্কিন ইউএসএস রস এবং ইউএস মেরিন কোর অংশ নিচ্ছে মহড়ায়।
রাশিয়া এ মহড়া শুরুর আগেই তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও হুঁশিয়ার করে বলেছিল, মহড়া চললে তারা তাদের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনে প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
মহড়ার বিষয়ে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর কমান্ডার বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এ মহড়া শক্তিশালী বার্তা দেবে। তবে কৃষ্ণসাগরে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে বড় পরিসরের এই মহড়া চলার সময়টিতে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। গত ২৩ জুন কৃষ্ণসাগরে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজকে সতর্ক করে এর গতিপথে গুলি ও বোমা ছোড়ার দাবি করে রাশিয়া। রুশ জলসীমায় ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে মস্কো। কিন্তু যুক্তরাজ্য এমন কিছু ঘটার কথা অস্বীকার করেছে, যা নিয়ে রাশিয়া-যুক্তরাজ্য সংঘাত দেখা দিয়েছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করেছে। তখন থেকেই ক্রিমিয়া উপকূলের চারপাশের জলসীমাকে রাশিয়া তাদের আওতাধীন ধরে নিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় এখনও রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং পশ্চিমা দেশগুলো এই উপদ্বীপকে ইউক্রেনের অংশ হিসাবেই দেখে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুডো ক্লাসে ২৭ বার আছাড় তাইওয়ানে বালকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকানাডায় রেকর্ড ভাঙা তাপপ্রবাহ, ৬৯ মৃত্যু