বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব–১৬ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বিভাগীয় পর্যায়ে ‘বি’ গ্রুপে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম। গতকাল নোয়াখালী ভেন্যুর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রুপের দ্বিতীয় খেলায় চট্টগ্রাম ৫৩ রানে কুমিল্লাকে পরাজিত করেছে। নিজেদের প্রথম খেলায় চট্টগ্রাম ২ উইকেটে লক্মীপুর জেলাকে পরাজিত করেছিল। আগামী ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে খেলবে রাঙামাটির জেলার বিপক্ষে। এ খেলায় জয়লাভ করলে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গতকাল টসে জিতে চট্টগ্রাম প্রথমে ব্যাট করতে নামে। নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে তারা ১৫১ রান সংগ্রহ করে। তবে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
পরে তুহিন ফরহাদ ২৬, রুবায়েত খান ২২ এবং মাহির শাহরিয়ার ৩৯ এর ব্যাটে চট্টগ্রাম দেড়শত রান অতিক্রম করে। তবে চট্টগ্রামের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত ৪৭ থেকে। কুমিল্লার ওমর রাজা ২৭ রানে ৩টি উইকেট দখল করে। মো. সবুজ এবং সানজিদ মজুমদার প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা ৩০.১ ওভার ব্যাট করে ৯৮ রানে সব উইকেট হারায়। কুমিল্লার ইনিংসেও সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত ৩২ থেকে। চট্টগ্রামের বোলাররা ৩১টি ওয়াইড দেন। কুমিল্লার সানজিদ মজুমদার ১৯,আল শাহরিয়ার আকাশ এবং জুবায়ের হোসেন প্রত্যেকে ১৫ রান করে সংগ্রহ করেন। চট্টগ্রামের জুয়েল কান্তি ১৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। তুহিন ফরহাদ ২৩ রানে পান ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মাহির শাহরিয়ার,মো. ইব্রাহিম,মেহরাব খান এবং মহিউদ্দিন শিহাব।
এদিকে চট্টগ্রাম ভেন্যুর খেলায় চাঁদপুর ৯ উইকেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পরাজিত করেছে। টসে জিতে চাঁদপুর প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। চাঁদপুরের সাকিবের হ্যাট্রিকের কৃতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অল্প রানে গুটিয়ে যায়। তারা ২৮.১ ওভার খেলে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের মাখদুম মাশরাফি ৪০, তানজিল আহমেদ ১৫ এবং তামজিদ আহমেদ ১১ রান করেন। চাঁদপুরের সাকিব ২৩ রানে ৬ উইকেট লাভ করেন।
সাকিব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদি হাসান, আবদুল্লাহ আল মিনহাজ এবং নাইফ আহসানকে পরপর তিন বলে আউট করে হ্যাট্রিক অর্জন করেন। এছাড়া রাফিদ হাসান পান ২টি উইকেট। জবাবে চাঁদপুর ১২.৪ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান তুলে নেয়। বিজয়ী দলের শহীদ আফ্রিদি ১৪,তানজিল আকন্দ অপ. ২১ এবং মাহমুদুল হাসান অপ. ৩৪ রান করেন। অতিরিক্ত রান হয় ১৯।