কুতুবদিয়ার ২৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শনিবার , ২২ নভেম্বর, ২০২৫ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ২৮ জেলেমাঝিসহ একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ নভেম্বর রাতে কুতুবদিয়া উপজেলার মলমচর এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগরে রওনা দিলে ঘন কুয়াশায় ফিশিং ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভারতের জলসীমায় ঢুকে গেলে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নজরআলী মাতবর পাড়া এলাকার এফবি আদিব২ ফিশিং ট্রলারের মালিক নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, আটককৃতরা বর্তমানে ভারতের নারায়নপুর কান্দিব থানা হেফাজতে রয়েছে।

ভারতে আটক জেলেরা হলেন, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন, নুরুল বশর, মোহাম্মদ শাহিন, তারেক মুহাম্মদ নওশাদ, আতিকুর রহমান, শাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ রাকিব, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, নুরুল ইসলাম, জোবাইদুল হক, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের জকির আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ তুহিন আলম, মোহাম্মদ মোজাহেদ, শাহেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান, লেমশীখালী আবুল বশর, মোহাম্মদ নাজেম উদ্দিন, এনামুল হক, মোহাম্মদ শরীফ, রবিউল হাছান, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ওমর ফারুক, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, আকতার হোছাইন ও নজরুল ইসলাম।

কুতুবদিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ও ফিশিং বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধি মো. জয়নাল আবেদীন জানান, গত ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কুতুবদিয়া উপজেলার মলমচর এলাকা থেকে ট্রলারটি যাত্রা করে। ছয়দিন পর ১৯ নভেম্বর রাতে ২৮ মাঝিমাল্লাসহ ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটকের বিষয়টি জানতে পারে তাদের পরিবারের সদস্যরা। আটক জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ট্রলারটির মালিক নজরুল ইসলাম জানান, ২৮ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এ বিষয়ে লিখিতভাবে কুতুবদিয়ায় থানায় অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান হোসেন জানান, থানায় একটি অবহিতকরণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস খাদে, আহত ৭
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালের বার্ষিক সম্মেলন