চট্টগ্রামের বাঁশখালীর প্রধান সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষের ঘটনায় হাটহাজারী এলাকার এক দুবাই প্রবাসী মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরো একজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন বলা জানা যায়।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চাম্বল দারুল উলুম আইনুল ইসলাম বড় মাদ্রাসার সামনে প্রধান সড়কে সিএনজি-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ছৈয়দুল ইসলাম (৩৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার সাথে থাকা আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহী ছৈয়দুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী এলাকার তাজুল ইসলামের পুত্র। জানা যায়, ছৈয়দুল ইসলাম দুবাইয়ের সারজায় প্রবাস জীবন করত। দেশে ফিরে এসে লকডাউনের কারনে প্রবাসে ফিরতে না পারলেও আগামী সপ্তাহে আবারো দুবাই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান তার চাচাত ভাই সেলোমান পাশা চৌধুরী।
ছৈয়দুল তার এক প্রতিবেশিকে নিয়ে আজ কুতুবদিয়া মালেক শাহ হুজুরের কবর জেয়ারত করার জন্য বাঁশখালীর চাম্বলে আসলে এ দুঘর্টনার কবলে পড়েন। নিহত ছৈয়দুলের ৫ বছর ও এক বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছৈয়দুল ইসলাম সহ তার সাথে থাকা আরো একজন মোটরসাইকেল আরোহী কুতুবদিয়ার শাহ্ মালেক শাহ্ (রহঃ) এর মাজার জেয়ারতের উদ্দ্যেশ্যে বের হন। বাঁশখালীর চাম্বল বড় মাদরাসা পর্যন্ত পৌছালে দক্ষিণ দিক থেকে আসা সিএনজির সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছৈয়দুল ইসলাম নামে মোটরসাইকেল আরোহীর মাথার একপার্শ্ব থেঁতলে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে শিলকুপস্থ বাঁশখালী স্কয়ার ক্লিনিকে নিয়ে আসেন।
বাঁশখালী স্কয়ার ক্লিনিকে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো, জাবেদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চমেক প্রেরণ করা হয়। বাঁশখালী স্কয়ার ক্লিনিকের অ্যাম্বুল্যান্স এ করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অবস্থায় শনিবার ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান। চমেক হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক জানান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।