নগরীর অলংকার মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টকে তেলাপোকা আর ময়লা-আবর্জনাপূর্ণ স্থানে খাবার তৈরি ও সংরক্ষণ, কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখা, রং দেওয়া করমচাকে চেরি হিসেবে ব্যবহার এবং ময়লাযুক্ত ফিরনি বিক্রির রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এ জরিমানা করে।
এপিবিএন ৯ এর সহায়তায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্ল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। বাংলানিউজ
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, অভিযানে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ১ লাখ ৫ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে হাইড্রোজ, নকল চেরি, ময়লা ও তেলাপোকাযুক্ত ফিরনি, মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ, মেয়াদোত্তীর্ণ দই-মিষ্টি ধ্বংস করা হয়।
খুলশী থানার টেকনিক্যাল মোড়ের ফাতেমা ফার্মেসিকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা, গ্রিন বেকারিকে পণ্যের প্যাকেটে উৎপাদন, মেয়াদ, মূল্য উল্লেখ না করা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রক্রিয়া করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
আকবরশাহ্ থানার আকবরশাহ্ মাজার রোডের মালেক হোটেলকে হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলাপি তৈরি করায় ৬ হাজার টাকা, মিয়াজী স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ দই ও রসমালাই রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অলংকার মোড়ের মক্কা ফুডকে কোমল পানীয়ের কৌটায় মূল্য ঘষামাজা করে ৩৫ টাকার স্থলে ৬৫ টাকায় বিক্রি ও মেয়াদোত্তীর্ণ রসমালাইয়ের মেয়াদ তুলে বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।