ধারণার চেয়েও বেশি পানি থাকতে পারে বিভিন্ন গ্রহে। তবে এর বেশিরভাগই গ্রহপৃষ্ঠের বদলে এদের গভীরে লুকানো থাকে বলে সামপ্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। দূরবর্তী বিভিন্ন গ্রহের বাসযোগ্যতা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করতে পারে সামপ্রতিক এই আবিষ্কার। প্রচলিতভাবে বিভিন্ন এক্সোপ্ল্যানেট নিয়ে গবেষণার জন্য একটি সাধারণ মডেল ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিডিনিউজের।
তারা ধরেই নিয়েছেন যে, গ্রহের অভ্যন্তরে একটি লোহার কোরসহ পাথরের আচ্ছাদন ও পৃষ্ঠে প্রধানত পানি রয়েছে, অনেকটা পৃথিবীর মতো। তবে ইটিএইচ জুরিখ–এর অধ্যাপক ক্যারোলিন ডর্নের মতে, মডেলটি বেশ পুরনো। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, বিভিন্ন গ্রহ অনেক বেশি জটিল ও বেশিরভাগ পানি এদের অভ্যন্তরে এবং যথেষ্ট গভীরে থাকতে পারে।
গ্রহের অভ্যন্তরে কীভাবে পানি বণ্টন হয় তা খতিয়ে দেখতে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞসহ গবেষণা দলটি পদার্থবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে এক মডেলভিত্তিক গণনা করেছেন। গবেষকরা দেখেছেন, বিশেষ করে বড় আকারের বিভিন্ন গ্রহে পানি লোহার কোরের মধ্যে ডুবে যায়, যা ফেলে গ্রহের উপরিভাগেকম পানি থাকে।
বিভিন্ন গ্রহ তরুণ অবস্থায় প্রায় গলিত পাথরের মহাসাগরে আবৃত থাকে, যাকে বলা হয় ম্যাগমা। ম্যাগমায় পানি ভালভাবে দ্রবীভূত হয়ে যায় ও কার্বন ডাই অঙাইডের মতো বিভিন্ন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। গ্রহটি ঠাণ্ডা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রবীভূত পানির ম্যাগমাতে থাকা লোহার বিভিন্ন ফোঁটা গ্রহের মূল গঠনে ডুবে যায়। গ্রহের কেন্দ্রে প্রচণ্ড চাপের ফলে পানি তার অণুর চেহারায় না থেকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে বিভক্ত হয়ে যায়।