কী ঘটেছিল নানিয়ারচর কেন্দ্রে

এসএসসির বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষা ।। কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার প্রত্যাহার

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ মে, ২০২৩ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা। এদিন রাঙামাটি জেলাধীন নানিয়ারচর উপজেলার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সংঘটিত এক ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরীক্ষা পরিচালনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র কমিটি ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ভেঙে তা পুনঃগঠন করা হয়েছে। থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। নানিয়ারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ঘটনার প্রেক্ষিতে তড়িৎ এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার এসব পদক্ষেপের তথ্য আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষাবোর্ড ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন (মঙ্গলবার) পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষা কেন্দ্রের (নানিয়ারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়) সিঁড়ির পাশে তিনজন ব্যক্তি জড়ো হয়ে কিছু একটা দেখছিলেন। কেন্দ্রে দায়িত্বরত কয়েকজন শিক্ষক সেদিকে ছুটে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়। শিক্ষাবোর্ডকেও ঘটনা অবহিত করা হয়। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরীক্ষার পর কেন্দ্র সচিব অঙ্গদ চাকমা ও হল সুপার অন্বেষা চাকমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তাদের স্থলে উপজেলার জাহানাতলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল জ্যোতি চাকমাকে কেন্দ্র সচিব ও ঘিলাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চাকমাকে হল সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একই সাথে কেন্দ্র কমিটি ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ভেঙে তা পুনঃগঠন করা হয়। শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনায় কেন্দ্রে দুটি কমিটি থাকে। এর একটি কেন্দ্র কমিটি। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেন্দ্র কমিটির চেয়ারম্যান। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্র সচিবের নেতৃত্বে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি নামে আরো একটি কমিটি থাকে। ঘটনার পর ওই কেন্দ্রের দুটি কমিটিই পুনঃগঠন করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনায় নানিয়ারচর থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। খণ্ডকালীন এক শিক্ষকসহ অজ্ঞাত আরো দুইজনকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের মোবাইলে চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে গৃহীত পদক্ষেপের তথ্য নিশ্চিত করে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার আজাদীকে বলেন, ঘটনাটি ছোট হলেও খুবই স্পর্শকাতর। তাই বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা থানায় মামলা করতে বলেছি। কেন্দ্র সচিব বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনা ও গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ববাজার থেকে আরও কমে চিনি কিনছে সরকার
পরবর্তী নিবন্ধবিডিএস ভর্তি পরীক্ষা কাল