ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে প্রতীকী ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৩০০ জন তরুণ-তরুণী, ক্রীড়াবিদ, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্য বৃন্দ।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ৭টায় জেলা শহরের বড়পুল মোড় থেকে এ প্রতীকী ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) ফৌজিয়া খান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন, তাদের স্মরণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ আয়োজন করেছে। জুলাইয়ের যে চেতনা— অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম— সেটি আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে। যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়েছেন, তাদের যে মনের বাসনা, তা বর্তমান ও আগামী সরকার ও প্রশাসন নিশ্চয়ই বাস্তবায়ন করবেন— আমি এ আশাই করি।’
অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ এর উপপরিচালক ও প্রতীকী ম্যারাথন আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম শামীম এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) এস. এম মাজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান মারুফ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ এর সহকারী পরিচালক মোঃ আতহার আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আমির অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান, মোঃ সূফি সাজ্জাদ আল ফোজায়েল, মোঃ রিয়াদ হোসেন, রাহুল ঘোষ পলাশ, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ খালিদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ ইকরাম হোসেন, সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াজ ইবনে জসিম, যুগ্ম সদস্য সচিব মুস্তাইন লুবাবা, তানভীর, নাগরিক কমিটির সদস্য সাব্বীর ও নাহিদ প্রমুখ।
এছাড়াও জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবার ও আহতরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতীকী ম্যারাথনটি বড়পুল মোড় থেকে শুরু করে ৫ কিলোমিটার দৌড়ে শহরের বটতলা পুরাতন স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে মেডেল তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেল প্রশাসক (যুগ্মসচিব) ফৌজিয়া খান।