কথায় আছে অপরের ব্যথা নিজে কখনো উপলব্ধি করতে পারে না। যতক্ষণ তিনিও সে ব্যথার আঘাতে জর্জরিত না হন। কিডনি রোগীদের সমস্যা ও দুর্ভোগ লাগবে কাজ করে যাওয়া চট্টগ্রামের একমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে সংগঠন সৃষ্টি করা মানুষটি। আমিও সংগঠন পাগল মানুষ তাই কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থা গঠনের শুরু হতেই আমার সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। বলেছিলেন এই রোগ নিয়ে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া কথাগুলো। একা লড়েছেন। সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে অনেক প্রতিকূলতা কাটাতে হয়েছে।
বলছি সবার পরিচিত এড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক অর্থ সম্পাদক আমাদের প্রিয় এস এম জাহেদুল হক ভাইয়ের কথা। তিনি নিজে কিডনি রোগে ভূগছিলেন। অপারেশন করেছেন বেশ কয়েকবার। নিজের মুখের কথাগুলো ছিল এরকম যার কিডনি রোগ হয় সে ধনী হলেও ভিখারি হতে বেশি দিন লাগে না।
স্বপ্নের কিডনি হাসপাতাল গড়তে তিনি সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। হাসপাতাল গড়তে সকল কর্মপন্থা সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তিনি তৈরী করেছেন।
সবাইকে বুঝাতেন একটি বিষয়, কিডনি রোগীদের সেবার জন্য সুস্থ মানুষকে কিডনি রোগী কল্যাণ সংস্থার সাথে যোগ হতে। ওনার ডাকে সাড়া দিয়েছেন সবাই। কিন্তু আজ যখন ধীরে ধীরে তাঁর স্বপ্নের একেকটি ধাপ পেরিয়ে যাচ্ছেন তখনই তাঁকে চলে যেতে হলো মহান রবের ডাকে। তাঁর দেখিয়ে যাওয়া সে রূপরেখা আর স্বপ্নের কিডনি হাসপাতাল গড়ে উঠবে। চট্টগ্রামের কিডনি রোগীদের মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে। আল্লাহ পাক তাঁকে যে জান্নাতের উঁচু মকাম দান করেন।