রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ছয়টি কমিশনের ‘কিছু সুপারিশ’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংলাপের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন্ত এ ছয়টি কমিশন বিভিন্ন সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সংলাপের দরকার নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো নিজ উদ্যোগেই সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
প্রেস সচিব বলেন, এসব প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জন্য বড় ধরনের অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন নেই। তাই দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ৩০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে পাঠানো হবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এদিন ব্রিফিংয়ে আসেন প্রেস সচিব। মডেল মসজিদের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি হওয়ার তথ্য দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, অন্যায়–অনাচার হয়েছে, সেগুলো তারা তদন্ত করে দেখবেন। অনেকে এটিকে সৌদি সরকারের অর্থায়নে প্রকল্প হিসেবে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এটি পুরোপুরি জনগণের করের টাকায় বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, এই মসজিদ নির্মাণে অনেক অনিয়ম হওয়ার অভিযোগ এসেছে। দেখা গেছে, খুবই প্রভাবশালী একজন মন্ত্রী, তার এলাকায় না করে আট কিলোমিটার দূরে, যেখানে উনি একটা রিসোর্ট করছেন, সেখানে মসজিদটি করেছেন, সরকারি টাকায়।
পতিত স্বৈরাচার সরকার ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণে এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল। একটা মসজিদে ব্যয় হয় ১৭ কোটি টাকা। এখানে এত দুর্নীতি হয়েছে, অনেকেই বলছেন, সেটা অর্ধেক খরচে করা যেত।
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হওয়ার তথ্য দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে এডিবি সহায়তা করবে।
শাহবাগ এলাকায় সভা–সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, ইউএন (জাতিসংঘ) মহাসচিব আসছেন, এটা আমাদের জন্য সম্মানের বিষয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ সফর। তার সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। রোহিঙ্গা সহায়তা কমানো হয়েছে, এ নিয়ে কথা হবে। এ কারণে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।