কাস্টমসের দুই কর্মকর্তা জেলে

আজাদী প্রতিবেদন

রাজস্ব ফাঁকির ২৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ মামলা | শুক্রবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৪৫ অপরাহ্ণ

প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি ও তা ব্যবহার করে ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা ৫০ পয়সা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা আত্মসাতের মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম মোল্ল্যা ও রাজস্ব কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মাহমুদ খান (অবসরপ্রাপ্ত)। গতকাল মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালতের জামিন শেষ হলে মিস মামলা করে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা দু’জন। দুদক পিপি ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা আত্মসাতের একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের আবেদন নাকচ করে দেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পারষ্পরিক যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যহার করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জাল কাগজপত্র তৈরি ও তা ব্যবহার করে নিজে লাভবান হয়ে অপরকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা ৫০ পয়সা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা আত্মসাত করেছে, এমন অভিযোগে মোট চারজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৪ নভেম্বর মামলাটি করেন দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. আবু সাঈদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার রয়েল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান চায়না থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি পণ্য আমদানি করে। পণ্যের রাজস্ব পরিশোধের জন্য আমদানিকারক তার পরিচিত সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স নেপচুন এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদারের কাছে আমদানি সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সরবরাহ করেন। পরবর্তীতে নেপচুন এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার আমদানিকারকের অগোচরে তার পরিচিত অপর সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক মো. আব্দুল মান্নানের কাছে আমদানি সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সরবরাহ করেন। একপর্যায়ে আব্দুল মান্নান বিল অব এন্ট্রিতে নিজে স্বাক্ষরপূর্বক বিল এন্ট্রি ও সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক দলিলাদি শুল্কায়ন সেকশন-৫(বি), কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামে দাখিল করেন। পরবর্তীতে দেখা যায়, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক আব্দুল মান্নানের দাখিলকৃত বাণিজ্যিক দলিলাদিতে মালামালের প্রকৃত বিবরণ যথা ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট’র চারটি আইটেমের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট-করাত উল্লেখ করে আমদানিকারক মো. নজরুল ইসলামের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রকৃত বাণিজ্যিক দলিলাদি পরিবর্তন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবিতে পরীক্ষা সশরীরে, ক্লাস অনলাইনে
পরবর্তী নিবন্ধদুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান