জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটের উপর আলোচনায় চট্টগ্রাম–৮ (চান্দগাঁও–বোয়ালখালী) আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম কালুরঘাট সেতুর ভূমি অধিগ্রহণের ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা প্রস্তাবিত বাজেটে এককালীন বরাদ্দ রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে তিনি এই অনুরোধ জানান।
বাজেট বক্তৃতায় আবদুচ ছালাম এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা চান্দগাঁও–বোয়ালখালী এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের বৈদেশিক ঋণ ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা এবং জিওবি ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। তন্মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই জমি অধিগ্রহণের সমুদয় টাকা প্রস্তাবিত বাজেটে এককালীন বরাদ্দ রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আবদুচ ছালাম এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরের চট্টগ্রাম শহরের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তার সাথে সাথে আমার নামটিও পাল্টে দিয়েছেন। আগে চট্টগ্রামের মানুষ আমাকে ছালাম হিসাবে চিনতেন এখন চিনেন সিডিএ ছালাম হিসাবে।
বক্তৃতার শুরুতে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এই বাজেট প্রস্তাবনা করেছেন। এই বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ইঙ্গিত বহন করে।
আমার বিবেচনায় ২০২৪–২৫ সালের বড় চ্যালেঞ্জ হল মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি রোধ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ও ডলার সংকট মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে। এই বিবেচনায় প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করে জিডিপির হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার যে প্রচেষ্টা তা প্রশংসনীয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।