কালুরঘাট সেতু ওপর দিয়ে চলাচলরত যানবাহন থেকে টোল আদায় শুরু হয়েছে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। সেতু দিয়ে চলাচলরত বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, ট্রাকের টোল ১৫০ টাকা, মাইক্রোবাস ৬০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫০ টাকা, জিপ ৫০ টাকা, সিএনজি ট্যাক্সি ২০ টাকা। মোটরসাইকেলের টোল ২০ টাকা নির্ধারণ করায় প্রথম দিন মোটরসাইকেল চালকদের আপত্তির মুখে বন্ধ ছিল। গতকাল উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ বৈঠকে বসে মোটর সাইকেলের টোল ১০ টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। সেতু দিয়ে প্রতিদিন কি পরিমাণ যারবাহন চলাচল করে তা সঠিকভাবে বলতে না পারলেও ঠিদাকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এখন গড়ে প্রতিদিন ১ লাখ ২০ হাজারের মতো টোল আদায় হচ্ছে।
এই ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাওয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলম ববি আজাদীকে বলেন, টোল আদায় শুরু হয়েছে আজ মাত্র ৫–৬দিন। এখনো কি পরিমাণ গাড়ি চলাচল করছে তা আমরা হিসাব করিনি। এখন প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ২০ হাজারের মতো টোল আদায় হচ্ছে। তিনি বলেন, মোটর সাইকেল চালকদের আপত্তির কারণে এতোদিন মোটর সাইকেল থেকে টোল আদায় বন্ধ ছিল। আজকে প্রশাসনসহ সবার সাথে বৈঠকে মোটর সাইকেল থেকে ১০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য দীর্ঘ ১৪ মাস সংস্কার কাজ শেষে নতুন রুপ পেয়েছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুটি। গত বছরের ২৭ অক্টোবর সেতুটি সংস্কার শেষে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেয় রেলওয়ে।
বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে সংস্কারের পর এখন বেশ মজবুত ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে সেতুটি। কালুরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলরত যানবাহন থেকে টোল আদায়ে রেলওয়ে গত ডিসেম্বরে টেন্ডার আহ্বান করেছিল। টেন্ডারে আমাদের মাওয়া এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে সেতুর টোল আদায় শুরু হয়।