চন্দনাইশের দেওয়ানহাট–বৈলতলী–বরমা–পটিয়া সড়কের সাতবাড়িয়া জামতল বাজার সংলগ্ন বৈলতলী ইউনিয়নের ৮ ও ৯ ওয়ার্ড এলাকায় কালভার্টের মুখ বন্ধ করে পাকা দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বৈলতলী ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়বে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে এলাকাবাসীর যৌথ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দেওয়ানহাট–বৈলতলী–বরমা–পটিয়া সড়কের জামতল বাজারের দক্ষিণে পানি চলাচলের একটি কালভার্ট রয়েছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করে। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি সমপ্রতি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। ইতোমধ্যে কালভার্টের মুখে পিলার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, কালভার্টের মুখ বন্ধ করা হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হতে পারবে না। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পানি বন্দী হয়ে পড়বে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া এই কালভার্ট দিয়ে বর্ষাকালে সম্পূর্ণ পানি প্রবাহিত হতে না পেরে সড়কের উপর দিয়েই পানি প্রবাহিত হয়ে সড়ক ভেঙে যায়। এ অবস্থায় কালভার্টের মুখ বন্ধ করা হলে বর্ষায় আরো খারাপ অবস্থা হবে এবং জনদুর্ভোগ আরো বাড়বে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম বলেন, পানি চলাচলের জন্য নির্মিত কালভার্টের মুখ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি)’কে বলা হয়েছে। তবে এব্যাপারে কোনো ধরনের অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ জুনাইদ আবছার চৌধুরী।