প্রকৃতিতে এখন চলছে কালবৈশাখীর মৌসুম। সাধারণত চৈত্রের শেষ হতে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত এদেশে কালবৈশাখীর ভয়াল তাণ্ডব পরিলক্ষিত হয়। তবে বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড় বেশি হতে দেখা যায়। এই ঝড়ের স্থায়িত্বকাল সাধারণত খুব বেশি হয় না। তবে কখনো কখনো এ ঝড় এক ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। এর ভয়াল থাবায় ভেঙে যায় গাছপালা, বাড়ি–ঘর, দোকানপাট। হেলে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, সড়ক, মহাসড়কের আলোকবাতি। উড়ে যায় টিনের চালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকের কষ্টে ফলানো সোনার ফসল। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই কালবৈশাখীর তাণ্ডব চলে। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে বরং নিজ নিজ সুরক্ষার বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। ঝড়ের আবাস পাওয়ার সাথে সাথে যদি সতর্ক হওয়া যায় তাহলে ঝুঁকি অনেক কমে যায়। ঝড় শুরু হতে দেখলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া প্রয়োজন। ঝড়ের এই সময়টাতে পুরোনো জরাজীর্ণ ঘরবাড়ি সংস্কার করে রাখলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমে যায়। ঝড়ের সময় শুকনো মরা জরাজীর্ণ গাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে হবে। আসুন, কালবৈশাখীর এই সময়টাতে নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি।
মো. আশরাফুল ইসলাম
তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ












