আসন্ন কোরবানি ঈদে নির্বিঘ্নে যাত্রী পরিবহনের লক্ষে আগামীকাল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। কাল থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী যাত্রীদের দেশের বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হবে। অগ্রিম টিকিটের পাশাপাশি নিয়মিত সকল ট্রেনের টিকিটও যাত্রীদের মাঝে দেয়া হবে। ১ জুলাই যাত্রীদের মাঝে দেয়া হবে ৫ জুলাইয়ের টিকিট। ২ জুলাই দেয়া হবে ৬ তারিখের টিকিট, ৩ জুলাই দেয়া হবে ৭ তারিখের টিকিট, ৪ জুলাই দেয়া হবে ৮ তারিখের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেয়া হবে ৯ জুলাইয়ের টিকিট।
১০টি আন্তঃনগর ট্রেনের অর্ধেক টিকিট কাউন্টারে এবং অর্ধেক টিকিট (৫০ শতাংশ) অনলাইনে যাত্রীদের মাঝে বিক্রি করা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী। তিনি জানান, অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য আমাদের প্রস্তুতি নেয়া আছে। ঈদে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত হবে। ৭ জুলাই থেকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত চাঁদপুর রুটে চলবে প্রতিদিন দুটি স্পেশাল ট্রেন।
এদিকে আসন্ন কোরবানি ঈদে নির্বিঘ্নে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য নিয়মিত প্রতিটি ট্রেনে যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি। এই লক্ষে রেলওয়ের পাহাড়তলী কারখানায় ৫০টি অতিরিক্ত বগি মেরামতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার কর্ম ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রাশেদ লতিফ। তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমরা ৪০টি বগি মেরামত করে পরিবহন বিভাগে বুঝিয়ে দিয়েছি। আরো এক সপ্তাহ সময় আছে।
অবশিষ্ট বগি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা শেষ করতে পারবো। রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান এমনিতে নরমাল দিন গুলোতে প্রতিটি ট্রেনে ১৪ থেকে ১৬ বগি থাকে। ঈদে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হয়। ঈদের সময় একটি ট্রেনে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ যাত্রী পরিবহন করা হয়। একটি বগিতে ৫৫ থেকে ৬০জন করে বসতে পারে।
কারখানায় শ্রমিক সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রকৌশলী রাশেদ লতিফ বলেন, পাহাড়তলী কারখানায় ২ হাজার শ্রমিক থাকার কথা। এখন কর্মরত আছে ১ হাজারের মতো। ৫০ ভাগ কম জনবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। তারপরও কারখানার কোন শপ বন্ধ নেই। কম জনবল নিয়ে সব শপ চালু রাখা হয়েছে। সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়া থেকে মিটার গেজ যে সব বগি এসেছিল-সেগুলোও এখন মেরামতের সময় হয়ে এসেছে। এরকম বগির পাশাপাশি ৩০-৪০ বছরের পুরনো বগিও মেরামত করছি।
