কারারক্ষীদের জন্য দশতলা ভবন, হচ্ছে ব্যারাকও

দুর্ধর্ষ বন্দীদের জন্য ৩২টি সেল নির্মাণ শেষের পথে

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কারারক্ষীদের আবাসন সমস্যা দূর করতে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দশতলা একটি ভবন। একই সাথে ব্যারাকের সংকট ঘোচাতে নির্মিত হচ্ছে ছয়তলার পৃথক একটি ব্যারাক। এদিকে দুর্ধর্ষ বন্দীদের জন্য ৩২টি সেল নির্মাণ শেষের পথে রয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতাআজাদী প্রতিবেদন
য় এসব ভবন নির্মিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল আজাদীকে নতুন দুটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক আগে থেকেই ভবন দুটি নির্মাণের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছিল। ডিসেম্বরে প্রকল্প দুটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। শীঘ্রই ভবন দুটির নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি। গত ১৫ ডিসেম্বর কারা মহাপরিদর্শক চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে এসে প্রকল্প দুটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। প্রকল্প তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ৮শ বর্গফুট বিশিষ্ট দশতলার আধুনিক ভবনটি নির্মাণে প্রাক্বলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩১৩ টাকা। স্টাফ কোয়ার্টার নামে ভবনটির প্রতি তলায় চারটি করে ইউনিট নির্মিত হচ্ছে। দশতলার ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেখানে ৪০টি পরিবার বসবাস করতে পারবে।
অন্যদিকে ছয়তলা বিশিষ্ট আধুনিক ওয়ার্ডার ব্যারাক নির্মাণে প্রাক্বলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ ভবন দুটি নির্মাণ কাজ করবে।
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, ১৪ দশমিক ৪০ একর জায়গা জুড়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাগারে বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা, কারারক্ষীসহ বর্তমানে মোট ৪৬০ জন জনবল রয়েছে। এর মধ্যে কারারক্ষী আছে সাড়ে তিনশোর উপর। এর আগে কারাগারে ৩৪৪টি মঞ্জুরিকৃত পদ ছিল। সম্প্রতি নতুন ১১৮টি পদ সৃজন করা হয়।
চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার মো. রফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, বর্তমানে স্টাফদের আবাসনের জন্য ৪টি ভবন রয়েছে। চট্টগ্রাম কারাগারে জনবল বেড়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতে আবাসন ও ব্যারাকের সংকট ঘোচাতে দশতলা ও ছয়তলার দুটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কারাগার ঘিরে আরও উন্নয়ন কাজ চলছে বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। কারা অভ্যন্তরে দুর্ধর্ষ বন্দীদের জন্য আরও ৩২টি সেল নির্মাণাধীন রয়েছে। গত বছর আগস্টে পৌনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দুর্ধর্ষ বন্দীদের দ্বিতল ভবনটি ৪র্থ তলা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ৩২টি সেল ও একতলায় ১০টি সেল রয়েছে।
সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ চলতি বছর জুনে শেষ হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে চারতলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পটি শেষ হবে।
কারা তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম কারাগারে ৬ হাজার ৯শর বেশি বন্দী রয়েছে। তবে কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ২৪৯ জন। চট্টগ্রাম কারাগারে জঙ্গি, দুর্ধর্ষ ও ভয়ংকর বন্দীর সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। বর্তমানে এখানে ৩শ দুর্ধর্ষ বন্দী আছে। এসব বন্দীর তুলনায় সেলের সংখ্যা অপ্রতুল। তাই তাদের নিরাপদে রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই ঝুঁকির মুখোমুখি বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধফের জামিন আবেদন ওসি প্রদীপের