কারা রেখে গেল মোস্তাফিজের লাশ

উখিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

নিখোঁজের ১৭ দিন পর উখিয়ার দরিদ্র জেলে মোস্তাফিজুর রহমানের লাশের সন্ধান মিলিছে। গত রোববার রাতে উখিয়ার রহমতেরবিল সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে প্রায় আড়াইশ গজ অভ্যন্তরে পায়ে শিকল পড়া, ক্ষত বিক্ষত ও কম্বল মোড়ানো স্ট্রেচারে তার লাশ শনাক্ত করে স্বজনরা।

মোস্তাফিজুর রহমান উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বটতলী গ্রামের মৃত আবদুস সালামের পুত্র। তার পরিবারের দাবি মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি নাফ নদীতে ডিঙি নৌকা করে মাছ শিকারে যান তিনি।

মোস্তাফিজুরের আত্মীয় জয়নাল আবেদীন বলেন, মোস্তাফিজুর নাফ নদীতে নিয়মিত মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত ১ ফেব্রুয়ারি সে নদীতে মাছ শিকারে গেলে মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে এসে সশস্ত্র একদল তাকে ধরে নিয়ে যায়। আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও গত ১৭ দিন পর্যন্ত তার কোনো কোনো খোঁজ খবর পাইনি।

পাংলখালী ইউপির উক্ত ওয়ার্ড সদস্য জাফরুল ইসলাম জানান, নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশে মাছ শিকাররত অবস্থা থেকে কে বা কারা জেলে মোস্তাফিজকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। এতদিন তার কোন খোঁজখবর মেলেনি। হঠাৎ করে রহমতেরবিল সীমান্ত এলাকায় রাত ১০টার দিকে নিখোঁজ জেলে মোস্তাফিজের মৃতদেহের সন্ধান মিলে।

ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, জেলে মোস্তাফিজ যখন নিখোঁজ হয় তখন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্ত জুড়ে মিয়ানমার অংশে চরম বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে। পরিস্থিতির কারণে কোনভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা যায়নি। কিন্তু রোববার রাত ১০টার দিকে রহমতেরবিল সীমান্ত এলাকায় তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া রহস্যজনক। মরদেহের সন্ধান পাওয়া বিষয়ে উখিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।

নিজত জেলে মোস্তাফিজের পায়ে লোহার শিকল বাধা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে বলে স্বজনদের উদ্বৃত করে চেয়ারম্যান জানান। লাশ উখিয়া থানার মাধ্যমে ময়নাতদন্ত পূর্বক গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জানাজা শেষে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাঁটাতার কেটে ক্যাম্প থেকে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, আটক ৪০
পরবর্তী নিবন্ধআর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার নির্দেশ