কাপ্তাই উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে পৃথক পৃথক এলাকায় দুই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন- শোয়েব আহমেদ (২৮) এবং নাঈমুর রহমান (২২)। শোয়েব আত্মহত্যা করেছেন ২৪ জানুয়ারি (রবিবার) রাত ১০টার সময় এবং নাঈমুর আত্মহত্যা করেছেন সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে। আত্মহত্যার দুটি ঘটনাই ঘটেছে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রজেক্ট এলাকায়।
জানা গেছে- প্রথমে আত্মহত্যা করে শোয়েব। সে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গাড়ি চালক খয়েজ আহমদ তরুণের ছেলে। পারিবারিক কলহের জেরে শোয়েব আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
নাঈমুর রহমান একই এলাকার ফরহাদ হোসেনের ছেলে। শোয়েবের আত্মহত্যার বিষয়টি সমগ্র কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নাঈমুর তার বন্ধুদের কাছে শোয়েবের আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার একফাঁকে সে (শোয়েব) কিভাবে আত্মহত্যা করেছে তা সবাইকে দেখানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায় নাঈমুরের গলায় ফাঁস লেগে যায়। তাৎক্ষনিক নাঈমুরকে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে (নাঈমুর) মৃত ঘোষণা করেন।
কাপ্তাই থানার ওসি নাছির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি দুটি মরদেহ নিয়ে সোমবার রাঙ্গামাটি মর্গে গিয়েছেন এবং এই ঘটনায় থানায় দুটি পৃথক অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর বিষয়ে কোন অসঙ্গতি পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।