টানা ভারি বর্ষণের ফলে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। এই পাহাড় ধসের ফলে ৪টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড় ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী ২৭টি পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই পাওয়া ২৭ পরিবারের সদস্যদের মাঝে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন এবং ৪১ বিজিবির পক্ষ থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও তাদের মাঝে খাবার ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, ২০১৭ সালে জুন মাসে প্রবল বর্ষণের ফলে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ আকারে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছিল। ঐ পাহাড় ধসের ফলে কাপ্তাই উপজেলায় মাটি চাপা পড়ে ১৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন। তখন শতশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি আর যাতে ফিরে না আসে সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যেসব পরিবার বসবাস করছেন তাদের সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও মানুষ স্বেচ্ছায় আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে রাজি হচ্ছে না। তারপরও আমরা অনুরোধ করে এবং বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসছি। মানুষকে নিরাপদে রাখতে কাপ্তাই উপজেলায় ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান, কাপ্তাই উপজেলায় শতাধিক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছেন। এরমধ্যে সবেচেয় বেশি সংখ্যক পরিবার রয়েছেন নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনীতে। এছাড়াও চন্দ্রঘোনা, চিৎমরম, রাইখালী এবং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পরিবার চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলতাফ হোসেন বলেন, আরো কয়েকদিন ভারি বৃষ্টি হতে পারে।