কাপ্তাই উপজেলায় আজ বুধবার (২৮ জুলাই) এক দিনে সর্বোচ্চ ২৭ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই নিয়ে পুরো উপজেলায় ৩৯৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কাপ্তাই উপজেলায় প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বস্তরের জনগণের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডা. ওমর ফারুক রনি আজাদীকে বলেন, “করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমানোর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু কিছুতেই করোনা রোগীর সংখ্যা কমানো সম্ভব হচ্ছে না।” এজন্য তিনি সর্বস্তরের জনগণের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান আজাদীকে বলেন, “মানুষ যাতে মাস্ক ব্যবহার করে, অপ্রয়োজনে রাস্তার মোড়ে ঘোরাঘুরি না করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে সেজন্য সর্বক্ষণ মাঠে থেকে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি এবং আইন অমান্য করায় অনেককে জরিমানাও করেছি। তারপরও মানুষ সচেতন হয়নি।”
মূলত মানুষের অসচেতনতার জন্যই কাপ্তাই উপজেলায় প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
কর্ণফুলী পেপার মিলের জিএম (প্রশাসন) মো. সেলিমুল হক আজাদীকে বলেন, “প্রতিদিন কেপিএম এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজও (২৮ জুলাই) কেপিএম এলাকায় ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন। এই নিয়ে কেপিএম এলাকায় মোট ৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।”
কেপিএম এলাকায় যাতে করোনা রোগী বৃদ্ধি না পায় সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবারও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান সেলিমুল হক।
তিনি আতংকিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।