টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাপ্তাই লেকে পানি বাড়ছে। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম এ জলাধারে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পানির পরিমাণ ছিল ১০৬ দশমিক ৪৬ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। রুলকার্ভ অনুযায়ী এখন লেকে পানি থাকার কথা ১০৯ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। এখনো আরো ৩ ফুট বাকি আছে।
বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে পানি নেমে এলেও আপাতত কাপ্তাই লেক থেকে পানি ছাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের। যদি পানির লেভেল ১০৮ ফুট মিন সি লেভেল ক্রস করে তখনই লেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। কাপ্তাই লেকে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ মিন সি লেভেল।
তবে লেকে পানি বাড়ার কারণে গতকাল কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে রেকর্ড পরিমাণ (২২০ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
কাপ্তাই লেকে পানি ধারণ সক্ষমতা ও বাঁধের পানি ছাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের আজাদীকে বলেন, কাপ্তাই লেক থেকে পানি ছাড়ার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুক্রবার (গতকাল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লেকে পানির পরিমাণ ছিল ১০৬ দশমিক ৪৬ এমএসএল। রুলকার্ভ অনুযায়ী এখন লেকে পানি ধারণ সক্ষমতা রয়েছে ১০৯ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। এখনো প্রায় ৩ এমএসএল পানি কম রয়েছে। এখনো পানি ধারণা ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। আপাতত কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পানি ছাড়া বা নির্গমণের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। গত বছর ১০৮ এমএসএল পানি হওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ে খুলে দেয়া হলেও এবার পানি প্রবাহ গত বছরের মতো নেই। যদি পানির লেভেল ১০৮ ফুট মিন সি লেভেল ক্রস করে তখনই লেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে এ প্রকৌশলী বলেন, লেকে পানি বাড়ার কারণে শুক্রবার কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।