বিগত প্রায় এক মাস ধরে কাপ্তাই উপজেলাসহ রাঙামাটি জেলার প্রতিটি উপজেলায় লাগাতার ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই ভারি বৃষ্টির ফলে সড়ক মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন এলাকার মাটি ধসে পড়ে রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই টানা বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই রাঙামাটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় বেশ কয়েক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তবে কাপ্তাই রাঙামাটি সড়কের দেপ্পোয়াছড়ি নামক এলাকায় বিরাট আকারের ধস পরিলক্ষিত হয়েছে। রাঙামাটি অভিমুখি মহাসড়কের দেপ্পোয়াছড়িতে সড়কের ডান পাশে প্রায় ২শ ফুট গভীরতার একটি গিরিখাদ রয়েছে। টানা ভারী বৃষ্টির ফলে মহাসড়কের পাশের মাটি ধসে গিরিখাদে গিয়ে পড়েছে। এর ফলে সড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কের পাশে সৃষ্ট গভীর খাদে যে কোন মুহুর্তে ভারী যানবাহন পড়ে বড় আকারের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও স্থানীয় জনগণ আশঙ্কা করছেন। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখো গেছে, রাঙামাটি সড়কের পাশের মাটি বিশাল আকারের ভাঙন সৃষ্টি করে নিচের দিকে দেবে গেছে। এর মধ্যে অনবরত বৃষ্টির পানি গড়িয়ে সেই ভাঙন কবলিত স্থান দিয়ে নেমে যাচ্ছে। এর ফলে ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করছে।
দেপ্পোয়াছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর চাকমা বলেন, এক মাস আগেও এখানে কোন ভাঙ্গন ছিলনা। তবে সামপ্রতিক ভারী বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে এই ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন। এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এবারের আষাঢ় শ্রাবণ পুরো মাস জুড়েই ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে পানির স্রোত সড়কের যে স্থান তুলনামূলক নিচু সেখান দিয়েই গড়িয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে কম বেশি ভাঙ্গন সৃষ্টি হলেও দেপ্পোয়াছড়িতে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশি বলেও তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি কমলেই ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। আপাতত সবাইকে সতর্ক করতে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় লাল পতাকা এবং কোন কোন স্থানে লাল ফিতার বেষ্টনি দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।