সচিব পরিচয়ে মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার আব্দুল কাদেরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করলেও বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের দাবি করেছেন, তিনিও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কাদের ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর তাদের সঙ্গে মুসার লেনদেনের তথ্য পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনেছিল। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যার পর বেরিয়ে আসেন মুসা, কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার অর্থ-বিত্ত নিয়ে দৃশ্যত বিভ্রান্ত হওয়ার কথা বলছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, উনি কী ধরনের মানুষ, আমরা বুঝলাম না। তাকে আমার কাছে রহস্যময় মানুষ মনে হয়েছে। মুসা, তার স্ত্রী ও ছোট ছেলে জুবেরী হাজ্জাজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে একটি মেরুন রঙের প্রিমিও গাড়িতে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হন। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে তারা বেরিয়ে আসেন।
সুইস ব্যাংকের টাকা ফেরত পেলে যা করবেন: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বেয়াই মুসা বিন শমসেরের সম্পদ আর আড়ম্বরপূর্ণর্ জীবন-যাপন নিয়ে আলোচনা দীর্ঘকালের। একটি দৈনিকে সুইস ব্যাংকে মুসা বিন শমসেরের ৫১ হাজার কোটি টাকা থাকার খবর ছাপা হয়েছিল। এই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুণ বলেন, মুসা বিন সমশেরকে আমার কাছে রহস্যময় মানুষ মনে হয়েছে। তিনি ৮২ মিলিয়ন ডলার প্রসঙ্গে বলেছেন, সুইস ব্যাংকে তার টাকাটা আছে। তিনি আমাদের বলেছেন, ৮২ মিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংক থেকে পেলে তিনি পুলিশকে দেবেন ৫০০ কোটি টাকা, দুদকে বিল্ডিং করে দেবেন, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করে দেবেন! উনি কী ধরনের মানুষ, আমরা বুঝলাম না। হারুণ বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে উনি (মুসা) অন্তঃসারশূন্য মানুষ। উনাকে একটা ভুয়া লোক মনে হয়েছে। উনার কিচ্ছু নাই।












