নগরীর কাতালগঞ্জ মসজিদে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রোজাদারদের জন্য মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। মূলত আছরের নামাজের পর থেকে শুরু হয় ইফতার পরিবেশনের কর্মযজ্ঞ। মসজিদের স্বেচ্ছাসেবীরা রোজদারদের জন্য প্লেটে বিভিন্ন আইটেমের ইফতারি সাজিয়ে রাখেন। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ইফতারির অপেক্ষায় রয়েছেন। মসজিদে ইফতার করতে আসা বেশিরভাগ মানুষই নিম্ন আয়ের। এছাড়া পথচারী ও আশেপাশের বস্তি থেকেও রোজাদাররা এখানে এসে ইফতার করেন। গত আট বছর ইফতারির এই আয়োজন চলছে বলে জানান স্বেচ্ছাসেবীরা।
রিকশা চালক আবুল হোসেন বলেন, রিকশা চালিয়ে রোজা রাখা কঠিন। তাই আমি দিনের বেলা রিকশা চালানো থেকে বিরত থাকি। কাতালগঞ্জ মসজিদ আমার বাসার কাছেই। তাই এখানে ইফতার সেরে রিকশা নিয়ে বের হই। প্রতিদিন শত শত মানুষের সাথে ইফতার করতে ভালোই লাগে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, পাঁচলাইশ মোড়ে একটা কাজে এসেছিলাম। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসার কারণে মসজিদে চলে এসেছি। আমি মেসে থাকি। মেসে ইফতারের আয়োজন হয় না। তাই প্রায় সময় দোকানে ইফতার করা হয়।
মসজিদের স্বেচ্ছাসেবী ইমরান হোসেন বলেন, কাতালগঞ্জ মসজিদে প্রতিদিন প্রায় পাঁচশতাধিক রোজাদার ইফতার করেন। রোজাদারদের ইফতার করানো সওয়াবের কাজ। তাই এই কাজে আমি শরীক হয়েছি।