কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় আকিবকে

পটিয়ায় রঙমিস্ত্রি হতাকাণ্ডে স্বীকারোক্তি

পটিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

কিশোর রংমিস্ত্রি আকিবকে কাজের কথা বলে ফোন করে পাহাড়ি অঞ্চল হাইদগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিয়ে যায় আমান উল্লাহ আমিন। তার আগে আমিন পটিয়া সদরের একটি দোকান থেকে ৬০ টাকা দামে একটি চাকু কিনে নেয়। কথামত আকিব ওই এলাকায় গেলে আমিন তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি তুললে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে আকিবের পেটে ছুরিকাঘাত করে আমিন। এসময় আমিনও খানিকটা ছুরিকাহত হয়। পরে আকিব মাটিতে পড়ে গেলে গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের টয়লেটের একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে উপরে বালি চাপা দিয়ে চলে আসে আমিন।

গত ২৬ নভেম্বর রাতে আকিব হাসানকে (১৭) খুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি আমান উল্লাহ খান আমিন (২৪) এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কৌশিক আহমেদ খন্দকারের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। এর আগে গত শুক্রবার রাতে আসামি আমিনকে চট্টগ্রাম নগরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি আমিন পটিয়া পৌর সদরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গোবিন্দরখীল এলাকায় দীর্ঘদিন ভাড়া বাসায় থাকলেও তার আসল বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। অন্যদিকে নিহত আকিব পটিয়া পৌরসদরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল কোম্পানি বাড়ির মোহাম্মদ আলী হাসানের পুত্র। জানা যায়, নিহত আকিব হাসান ও খুনী আমিন উল্লাহ খান দুইজনই পেশায় রংমিস্ত্রি এবং দুইজনের বাড়িই পাশাপাশি।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা তারিক রহমান বলেন, রঙমিস্ত্রি আকিব হত্যার আসামি আমিন উল্লাহকে গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। জবানবন্দি শেষে তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজনীতির নামে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিতে অতিষ্ঠ বোয়ালখালীবাসী
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় উল্টে গেল চিংড়ি বোঝাই ট্রাক