সহকর্মী খুনের প্রতিবাদে দিনভর বিক্ষোভের পর আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কাজে ফিরেছেন চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের শ্রমিকরা।
বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইব্রাহীম আজ বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, “বাদ মাগরিব নিহত মাসুদের জানাজার পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে আগামীকাল বিকালে আবারও প্রতিবাদ সমাবেশ করব আমরা।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকালে মো. মাসুদ নামে এক শ্রমিকের সাথে মালামাল নিয়ে আসা এক পিকআপ চালকের কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় ওই পিকআপ চালক দলবল নিয়ে এসে মাসুদকে ছুরিকাহত করে। দুই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বুধবার সকালে মাসুদ মারা যায়।
শ্রমিকরা বলছেন, ঝগড়ার জেরে সন্ধ্যায় ওই পিকআপ চালক দলবল নিয়ে মাসুদের ওপর আক্রমণ চালায়। ছুরিকাহত মাসুদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
সহকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান শ্রমিকরা। রাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর কাজে যোগ দেন তারা। হামলাকারীকে ধরতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয় সেই সময়।
হামলার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন মাসুদের ছেলে। সেই মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকালে মাসুদের মৃত্যু হলে কাজ বন্ধ রেখে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। হামলাকারী গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
এ পরিস্থিতিতে দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় এই পাইকারি বাজারের কার্যক্রম টানা দ্বিতীয় দিনের মতো স্থবির হয়ে পড়ে। শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রাখায় কোথাও পণ্য পাঠানো যায়নি। আবার খাতুনগঞ্জে আসা পণ্যগুলোও গাড়ি থেকে নামানো যায়নি সেই সময়।
এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক লীগের নেতারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাজে ফিরতে রাজি করান।
জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির (সিবিএ-নন সিবিএ) সদস্য সচিব আবুল হোসেন আবু বলেন, “বৈঠকে আমরা হত্যাকারীকে ধরতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছি। তার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করা না গেলে বিক্ষোভ থেকে পুনরায় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”












