হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দেশবাসীর উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
ওই বার্তায় তিনি বলেন, “হেফাজত হলো দেশের বড় একটি অরাজনৈতিক দল। গত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করা হেফাজত ২০২১ সালে আসার পর প্রায় ১১ বছরে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না কোনো পার্টির সঙ্গে হেফাজতের সম্পর্ক ছিল।
আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকীর প্রেরিত ২০ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভিডিও বার্তায় হেফাজত আমির আল্লামা বাবুনগরী বলেন, “হেফাজত শান্তি-শৃঙ্খলা চায়। কোনো অশান্তি বা বিশৃঙ্খলায় যেতে চায় না। হেফাজত কোনো সংঘাতেও যেতে চায় না। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো হেফাজতের উদ্দেশ্য নয়। কোনো পার্টি বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হেফাজত ইসলামের উদ্দেশ্য নয়। হেফাজতের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর জমিনে হযরত মুহাম্মদ (স:)-এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। এই হলো হেফাজতের অবস্থান।”
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর বিরোধী হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না বলে দাবি করে হেফাজত আমির ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, “এমনি কিছু কিছু বক্তা তাদের বক্তব্যে এ ব্যাপারে বললেও কিন্তু মোদি আসার ব্যাপারে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। অথচ মোদির সফর ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ জুমার দিন দেশের কোনো কোনো স্থানে কিছু অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি বলেন, “২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমি নিজেও হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছিলাম না, দূরে সফরে ছিলাম। সেদিন ঢাকার বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার রেশ ধরে হাটহাজারীতে ঘটনা ঘটেছে।” এ ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে হেফাজত আমির দাবি করেন।
আমাদের দেশের অবস্থা একটু ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে এমনটা মন্তব্য করে জুনায়েদ বাবুনগরী ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, “মাহে রমজানে প্রশাসন বেধড়কভাবে আমাদের হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী, হক্কানি আলেম ওলামাদের, দেশের জনগণকে, ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানি ও গ্রেফতার করছে। অবিলম্বে এ ধরপাকড় ও হয়রানি বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তাছাড়া আমাদের হেফাজত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাসহ ছাত্র ও তৌহিদী জনতা যাদেরকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।”