চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে বৈধভাবে আসন বরাদ্দ দিয়ে পরে স্থগিত করায় কাঁথা–বালিশ নিয়ে হলগেটে অবস্থান করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে হলটির প্রধান গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। হলে না উঠানো পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর ফরহাদ হোসেন হলে আবাসন বরাদ্দের আবেদন নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর ভিত্তিতে আইসিটি সেল কর্তৃক বরাদ্দপ্রাপ্তদের ফলাফল দেওয়া হয়। হলটিতে সিট সংখ্যা সাতশ’। এরমধ্যে ৫৩০ জন শিক্ষার্থীর হলে সিট নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের অধিকাংশ হলটিতে উঠেছেন। ভাইভাতে বাকি ১৭০ জন শিক্ষার্থীর সিট স্থগিত রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, বর্ষ নিয়ে প্রশাসন যে সমস্যার কথা জানিয়ে আমাদের সিট স্থগিত রেখেছে, আসলে এতে আমাদের কোনো ভুল ছিল না। আবেদন ফরম অনুযায়ী আমাদের সবকিছু শতভাগ সঠিক। পরে প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে যৌক্তিক সমাধানের কথা জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এতে ভুক্তভোগীরা আবাসন সংকট নিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ছেন বলে জানান।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শরিফুল ইসলাম জানান, প্রশাসন কর্তৃক সরবরাহকৃত ফরম অনুযায়ী যথাযথ নিয়মে আবেদন করে মেধার ভিত্তিতে শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে সিট বরাদ্দ পেয়েছি আমরা। এরপর সাক্ষাৎকারে হঠাৎ ইয়ার সংক্রান্ত সমস্যার কথা উল্লেখ করে আমাদের সিট স্থগিত করে দেয়। সমস্যার সমাধানে প্রভোস্ট থেকে আইসিটি সেল হয়ে প্রক্টর অফিস, প্রো–ভিসি অফিসে ১৩ এপ্রিল থেকে এখন অবধি চরকির মতো ঘুরানো হচ্ছে আমাদের। প্রশাসন থেকে সমাধানের আশ্বাস দিলেও তার কোনো অগ্রগতি নেই। গতমাসের ২৬ এপ্রিল থেকে হলে উঠার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ায় সকলে মেস/বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এখন যাযাবরের মতো এখানে সেখানে থাকতে হচ্ছে দেড়শোর অধিক শিক্ষার্থীকে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় আসন বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়ক ও উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, তারা আবেদনে একটি ভুল করেছে। সমাবর্তনের পর তাদের হলে উঠাব বলেছি এবং সমাবর্তনের আগে সমস্যাটি আমরা সমাধান করব। এখন তারা অবস্থান কর্মসূচি করলে কিছু বলার নেই।