সরবরাহ সংকটের অজুহাতে খুচরা পর্যায়ে বেড়েই চলেছে কাঁচামরিচের দাম। গত দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা পণ্যের বৃহৎ আড়ত রেয়াজউদ্দিন বাজারে পাইকারিতে মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম বাড়ছে। তবে ভোক্তারা বলছেন, কাঁচামরিচ নিয়ে বিক্রেতাদের কারসাজি নতুন কিছু নয়। এর আগে গত বছরের এই সময়ে কাঁচামরিচের লাগামহীন দাম বাড়ার কারণে তৎকালীন সরকার ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দিতে বাধ্য হয়। গতকাল নগরীর কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়, যা দুদিন আগে বিক্রি হয়েছিল ২৪০ টাকায়। নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে গতকাল বিকালে কথা হয় কাঁচামরিচ বিক্রেতা ইমরান হোসেনের সাথে। তিনি জানান, পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। আজকে (গতকাল) সকালে রেয়াজউদ্দিন বাজার থেকে ৪ কেজি কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। বেচাবিক্রিও কম।
আবু তালেব নামে একজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাঁচামরিচের দাম এত বেশি ভাবা যায়? মানুষের উচিত এক সপ্তাহ কাঁচামরিচ কেনা বন্ধ করে দেওয়া। তখন দেখবেন, ব্যবসায়ীদের এই সিন্ডিকেট মুখ থুবড়ে পড়বে। এখানে পরিষ্কার, সিন্ডিকেট কারসাজি হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত কাঁচামরিচের বাজারে আলাদাভাবে নজরদারি করা।
রেয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি কাঁচামরিচ বিক্রেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামের বাজারে পাবনা থেকে সবচেয়ে বেশি কাঁচামরিচ আসে। কিন্তু গত এক মাস ধরে সরবরাহ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। শুনেছি পাবনাতে খরা এবং অতি বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছগুলো মরে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। কাঁচামরিচের উৎপাদন চার ভাগের এক ভাগে নেমে আসে। তাই কাঁচামরিচের বাজারে প্রভাব পড়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন আজাদীকে বলেন, কাঁচামরিচ অত্যাবশ্যকীয় কোনো পণ্য না। তারপরও লাফিয়ে লাফিয়ে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে। গত বছরও একবার কাঁচামরিচের দাম ৫০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে পরে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কাঁচামরিচসহ নিত্যপণ্যের বাজারে নিয়মিত অভিযান চালাতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই।