পটুয়াখালীতে এক কলেজছাত্রকে অপহরণের পর জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে গত ৩ অক্টোবর নাজমুল নামের ওই যুবক বাদী হয়ে পটুয়াখালী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমিরুল ইসলামের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। খবর বিডিনিউজের।
২৩ বছর বয়সী এই যুবক পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। মামলায় ইশরাত জাহান পাখি (২৫) নামের এক নারীসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পটুয়াখালী সদর থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মামলার নথির বরাত দিয়ে নাজমুলের আইনজীবী আবদুল্লাহ্ আল নোমান বলেন, আসামি ইশরাত জাহান পাখি দীর্ঘদিন যাবত এই যুবককে মোবাইল ফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে এই যুবককে চোখ বেঁধে অপহরণ করে এবং ২৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সাত আট জন ব্যক্তি বলপূর্বক তাকে একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। এদিকে, জোরপূর্বক বিয়ে করার একটি ভিডিও আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে এক নারীর বাম পাশে বাদী বসে আছেন। পেছন থেকে তার মাথার দুইদিক থেকে এক ব্যক্তি ধরে রেখেছে। সেখানে আরও কয়েক জন উপস্থিত রয়েছে।
এসময় ওই নারীকে নীল কাগজে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে। স্বাক্ষর গ্রহণের পর মেয়েটি মিষ্টি খান এবং এই যুবককে মিষ্টি খাইয়ে দেন। যুবকটি মিষ্টি মুখ থেকে ফেলে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইশরাত জাহান পাখি বলেন, এই যুবকের সঙ্গে তার দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং নিজ ইচ্ছায় যুবকটি তাকে বিয়ে করেছেন। এখানে অপহরণ কিংবা জোরপূর্বক বিয়ে করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।