কলকাতায় পাওয়া দেহাংশ এমপি আনারের

ডিএনএ প্রতিবেদন

| শনিবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা মাংস ও হাড় বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। কলকাতা সিআইডির বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষায় ওই দেহাংশের ডিএনএর সঙ্গে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের নমুনার মিল পাওয়া গেছে। গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন ঝিনাইদহ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনার। ১১ দিন পর তার খুন হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে।

কলকাতার সিআইডি বলছে, ১৩ মে নিউ টাউনে সঞ্জীবা গার্ডেন নামের ওই আবাসিক ভবনে আনারকে হত্যা করে হাড় মাংস টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। তার কিছু অংশ টয়লেটে ফেলে ফ্লাশ করে ফেলা হয়। বাকি অংশ সুটকেসে ভরে বাগজোলা খালে ফেলে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের আহ্বানে নভেম্বরের শেষ দিকে কলকাতায় যান আনারের মেয়ে ডরিন। তখন তার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। তারপর দুটি নমুনা যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয় সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। খবর বিডিনিউজের।

কলকাতা পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্থান টাইমস লিখেছে, ডিএনএ প্রতিবেদনে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে কলকাতার ফ্ল্যাট আর খাল পাড় থেকে যে মাংস ও হাড় উদ্ধার করা হয়েছিল, তা বাংলাদেশের এমপির।

গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন ঝিনাইদহ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনার। তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস কলকাতায় জিডি করার পর দুই দেশে তদন্ত শুরু হয়। তিনবারের এমপি আনার ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস কলকাতায় জিডি করেন। এরপর দুই দেশে তদন্ত শুরু হয়।

২২ মে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমপি আনারকে কলকাতার এক বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে বাংলাদেশের পুলিশ শিমুল ভুঁইয়া, তানভীর ভুঁইয়া ও সেলেস্টি রহমান নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের হোতা আখতারুজ্জামান শাহীন নেপালের কাঠমান্ডু হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় কেডিএস গ্রুপের শীতবস্ত্র পেল ২৫ হাজার দরিদ্র নারী-পুরষ
পরবর্তী নিবন্ধডোপ টেস্টে গ্রেপ্তার দুজন পজিটিভ