এক নারীর সঙ্গে ‘অশ্লীল ভিডিও চ্যাট’ করার অভিযোগ ওঠার পর ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের এক কর্মকর্তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার পর তাকে নিয়ে তদন্তের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ১৮ জানুয়ারি পাঠানো এক আদেশে উপ-হাই কমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) সানিউল কাদেরকে ঢাকায় বদলি করা হয়। আদেশের আট দিন পর গত বুধবার বেনাপোল হয়ে তিনি ঢাকায় ফিরে এসেছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তারা। খবর বিডিনিউজের।
সানিউলকে পাঠানো বদলির চিঠিতে বলা হয়, ‘অবিলম্বে আপনার বর্তমান দায়িত্বভার ত্যাগ করে সদর দপ্তর, ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের অনুরোধ করা যাচ্ছে।’ আদেশে কিছু বলা না হলেও সানিউলের ঘটনাটি এরই মধ্যে ভারতের সংবাদপত্রেও এসেছে। ঘটনাটি বিষয় তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনের দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি। তিনি বলেন, ‘উনি যদি এই রকমটি সত্যিই করে থাকেন, তাহলে আমরা অবশ্যই অফিসিয়ালি তদন্ত করে দেখব।’ কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনার তৌফিক হাসান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে উপ-হাই কমিশনের অফিসিয়াল ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে একটি ভিডিও পাঠানো হয়।
‘ওই ভিডিওটি দেখেই আমরা জানতে পারি যে ডেপুটি হাই কমিশনে নিযুক্ত একজন কূটনীতিক এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল চ্যাট করেছেন। বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর এবং একটি পত্রিকায় ঘটনাটা আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই অফিসারকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।’