চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ্ব মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু ঘুড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আজাদীর পক্ষ থেকে নির্বাচন ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আগামী ২৭ জানুয়াারি চসিক নির্বাচনে জয় লাভ করে আমি এই ওয়ার্ডকে মাদক ও জলাবদ্ধতা মুক্ত পরিচ্ছন্ন শিক্ষাবান্ধব আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব। গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়ার্ডের মানুষ খুবই সচেতন। গত ৫ বছরে আমার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এবারও আগামী ২৭ জানুয়ারির ভোটে তারা আমাকে বিজয়ী করবেন। এলাকাবাসী সুষ্ঠু নির্বাচন চান, আমিও একটি সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। মানুষ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়। ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে আমি যেখানেই যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’
আজাদী : আবার নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর জন্য কী কী করবেন? আলহাজ্ব মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু : আবারো কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে এলাকাকে মাদক মুক্ত করব এবং বৃষ্টির পানি জমে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় তা নিরসন করব। যারা মাদকের ব্যবসা করে এলাকার মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে তাদেরকে সচেতন করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এই ওয়ার্ডকে একটি পরিচ্ছন্ন শিক্ষাবান্ধব আলোকিত ওয়ার্ডে পরিণত করব। গত ৫ বছরে যে কাজগুলো শেষ করতে পারিনি- এখনো অসামাপ্ত আছে সেগুলো সর্ব প্রথম সমাপ্ত করব।
আজাদী : মাদকের বিরুদ্ধে আপনার পদক্ষেপ কী হবে?
আলহাজ্ব মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু : এই ওয়ার্ডটি ঘনবসতিপূর্ণ ওয়ার্ড। এখানে মাদকের সমস্যা আছে। গতবার নির্বাচিত হয়ে এলাক থেকে মাদক নির্মূলে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কিছু বস্তি এলাকায় এখনো মাদকের বিস্তার রয়েছে। নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার মুরুব্বিদের নিয়ে সর্বপ্রথম মাদকের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেবো। তাদেরকে বুঝিয়ে ভালো পথে নিয়ে আসব। তাদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এলাকার তরুণ সমাজ যাতে মাদকের জোয়ারে গা না ভাসায়। তাদের মেধাকে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাজে লাগানোর জন্য তাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করব।
আজাদী : আপনার এলাকায় প্রধান সমস্যা কী বলে মনে করেন, নির্বাচিত হলে কিভাবে সমাধান করবেন?
আলহাজ্ব মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু : বেশি বৃষ্টিপাত হলে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বস্তি এলাকায় মাদকের বিস্তার রয়েছে। এবার নির্বাচিত হয়ে সর্বপ্রথম জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেবো। বস্তি এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করব। যারা মাদকের সাথে যুক্ত তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মাদকের ব্যবসা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনব।
আজাদী : নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আপনি কতটুকু সন্তুষ্ট?
আলহাজ্ব মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু : নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আমি এখনো সন্তুষ্ট। এলাকাবাসীও নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে বেশ খুশি। তারা সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে চান। এখনো নির্বাচনী পরিবেশ আমাদের অনুকূলে আছে। বিএনপি নানা ভাবে চেষ্টা করছে নির্বাচনী সুষ্ঠু পারিবেশ বিঘ্ন করার জন্য। যেখানেই গণসংযোগ যাচ্ছি- এলাকার ভোটাদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এলাকাবাসী এই নির্বাচন নিয়ে খুবই সচেতন। তারা একজন দক্ষ শিক্ষিত জনপ্রতিনিধি চান। যেই বিবেচনায় গতবারও তারা আমাকে বিজয়ী করেছেন। আবারো তাদের সেবার জন্য আমাকে চান এলাকাবাসী।
আজাদী : নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে প্রথম পদক্ষেপ কি হবে?
আলহাজ্ব মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু : নির্বাচিত হয়ে এলাকার তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মহিলাদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করব। এলাকার তরুণদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করব। খেলার মাঠ সংস্কার করব। যাতে প্রতিদিন ওয়ার্ডের ছেলেরা খেলাধুলা করতে পারেন। এক সময় এনায়েত বাজার ওয়ার্ড খেলাধুলায় খুবই সমৃদ্ধ ছিল। এই ওয়ার্ডের অনেক খেলোয়ার জাতীয় পর্যায়েও খেলেছে। এলাকার ছোট ছোট ছেলেরা যাতে েেলখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করবো।
আজাদী: জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী ?
আলহাজ্ব মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু : জয়ের ব্যাপারে আমি ইনশাল্লাহ খুবই আশাবাদী। কারণ, গতবার নির্বাচিত হয়ে আমি ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। আগে ওয়ার্ডের যেখানে-সেখানে ময়লার ভাগাড় ছিল সেগুলো তুলে দিয়েছি। ওয়ার্ডে পানির সদস্যা ছিল-পানির সদস্যা নিরসন করেছি। করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী এলাকার জনগনের মাঝে বিতরণ করেছি। পাশাপাশি নিজের থেকেও এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। সাহায্য-সহযোগিতা করেছি। আমি যেখানেই গণসংযোগে যায় সেখানে মানুষের জোয়ার দেখতে পাচ্ছি। এলাকার ভোটাররা একজন পরিচ্ছন্ন-দক্ষ-জনপ্রতিনিধি চান। তারা আমাকে খুব আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছেন। এজন্য ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ।