চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ নির্বাচন অফিসের এক অফিস সহায়ককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ভবনে এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারী আজাদীকে জানান, গতকাল বিকালে কাজের পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক রক্তিম বড়ুয়া ওয়াশরুমে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমানের সঙ্গে দেখা হয় তার। এর আগে আতাউর রহমান আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ভবনের নিচতলায় পাঁচলাইশ নির্বাচন অফিসে এসে রক্তিম বড়ুয়াকে খোঁজ করেছিলেন। প্রথমবার এসে না পেয়ে কিছুক্ষণ পর তিনি আবার আসেন। দ্বিতীয়বার রক্তিমকে খুঁজে বের হওয়ার সময় সময় রক্তিম ওয়াশরুম থেকে ফেরার পথে আতাউর রহমানের সাথে দেখা হয়। এসময় রক্তিম কোথায় গিয়েছেন তা জানতে চান আতাউর। উত্তরে রক্তিম ওয়াশরুম থেকে ফিরছেন বলতেই তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন আতাউর।
এই ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন কর্মকর্তা রকর চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। এসময় আমি অফিসে ছিলাম না। আমি রাঙ্গুনিয়ায় ছিলাম। এটা ঠিক হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ও (অফিস সহায়ক রক্তিম বড়ুয়া) অন্যায় করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যেত। কিন্তু তাকে শারীরিক লাঞ্ছিত করা মোটেও ঠিক হয়নি। এর আগে অন্য অফিসের কর্মচারীও লাঞ্ছিত হয়েছেন। তবে আজকে (গতকাল) একটু বেশি বেশি হয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা দেখছি কী করা যায়। আমরা নিজেরা বসে এটা ঠিক করার চেষ্টা করছি।
অফিস সহায়ক রক্তিম বড়ুয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচিন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান আজাদীকে জানান, আমি চাইনা আর কোনো জয়নাল তৈরি হোক (জয়নাল আবেদীন ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক, যিনি বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে অসংখ্য রোহিঙ্গাকে গোপনে ভোটার করার অপরাধে নির্বাচন কমিশনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বর্তমানে সাসপেন্ড)। অফিসের শৃঙ্খলার জন্য একটু কঠোর হয়েছি। আমি মারিনি। বকাঝকা করেছি।