চট্টগ্রামের বর্তমান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান খেলাধুলার ব্যাপারে বেশ আন্তরিক। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চেষ্টা করছেন কিভাবে খেলার মাঠ সৃষ্টি করা যায়, কিংবা কিভাবে যে সব মাঠ রয়েছে সেগুলোকে সংস্কার করে আবার খেলাধুলার উপযোগী করা যায়। এরই মধ্যে তিনি ঐতিহ্যবাহী আউটার স্টেডিয়ামকে খেলাধুলার উপযোগী করে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছেন। এবার নগরীর কর্ণফুলী সেতুর পাশে উদ্ধার করা বড় একটি জায়গায় গড়ে তুলতে চান স্পোর্টস এরেনা।
কর্ণফুলী সেতুর পাশে প্রায় আড়াই একর জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। এই জমিতেই তিনি গড়ে তুলতে চান আধুনিক একটি স্পোর্টস এরেনা। এরই মধ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক।
এই স্পোর্টস এরেনায় থাকছে একাধিক খেলাধূলার অনুশীলনের ব্যবস্থা। ব্যাডমিন্টন কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট, ফুটবল টার্ফ এবং ক্রিকেটের জন্য অনুশীলন নেট থাকতে পারে এই এরেনায়। থাকতে পারে নারীদের অনুশীলনের সুযোগও। এছাড়া আরো একাধিক ইনডোর গেমস অনুশীলনেরও সুযোগ থাকবে। জেলা প্রশাসক নারীদের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছেন নানা সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে। যার অংশ হিসেবে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের অনুশীলন মাঠটাকে টার্ফে পরিণত করে তা কেবল মাত্র মেয়েদের অনুশীলনের জন্য বরাদ্দ রাখতে চান। সে হিসেবে অনুমান করা যায় কর্নফুলী সেতু এলাকায় যদি স্পোর্টস এরেনা হয় তাহলে সেখানেও হয়তো নারীদের অনুশীলনেরও সুযোগ থাকবে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্টানে একাধিকবার এ্ই স্পোর্টস এরেনার কথা উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন যতবেশি খেলার মাঠ সৃষ্টি করা যাবে ততবেশি ছেলেরা অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকবে।
এরই মধ্যে কর্নফুলী সেতুর পাশে উদ্ধারকৃত জায়গাটি ঘেরাও দিয়ে রাখা হয়েছে। জানা গেছে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এই জায়গাটিকে একটি স্পোর্টস এরেনায় পরিণত করা হবে। এমনিতেই এই এলাকাটি এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে বেশ সুন্দর। তাই সেখানে স্পোর্টস এরেনা নির্মিত হলে খেলোয়াড়দের অনুশীলনের একটি ভাল সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠকরা বরাবরই বলে থাকেন এই শহরে মাঠের অভাব। কিন্তু যারা নানা পদে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তারা কখনোই একটি মাঠ সৃষ্টির চেষ্টা করেননি কিংবা খেলাধূলার অযোগ্য হয়ে পড়া মাঠগুলোকে সংস্কার করার উদ্যেগ গ্রহণ করেননি। তারা বলছেন, যে স্থানে এখন স্পোর্টস এরেনা করার কথা ভাবছেন জেলা প্রশাসক, তার পাশেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন একটি মাঠ রয়েছে। অথচ গত বিশ বছরেও সে মাঠটিকে খেলার উপযোগী করা যায়নি। এখনো সে মাঠটি অনাদর আর অবহেলায় পড়ে আছে। অথচ সে মাঠটি হতে পারতো দারুন সুন্দর একটি স্টেডিয়াম।