রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী নদীর চরে এবার আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। ৫০ হেক্টর বিস্তৃত নতুন এই চর কয়েক বছর ধরে পতিত অবস্থায় ছিল। কৃষি অফিসের পরামর্শে সবজি আবাদের পর কৃষকরা এবার আউশ ধান চাষ করেছেন। ভালো ফলনের প্রত্যাশা করছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে নদী পাড় ছিলো ভাঙন কবলিত। ভাঙন ঠেকাতে কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং করে বালু এনে ফেলা হয়েছিলো পাড়ে। এতে নদীর পাড়ে দীর্ঘ ৫০ হেক্টরের অধিক বিস্তৃত কৃত্রিম চরের সৃষ্টি হয়। চরটি দীর্ঘ কয়েক বছর অনাবাদি পড়ে ছিলো। তবে এটিকে আবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। গত রবি মৌসুমে কৃষি অফিসের পরামর্শে চরটির প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে বাদাম, ফেলন, ভুট্টা, মিষ্টি আলু, তরমুজ–সহ বিভিন্ন রকমের রবি ফসল চাষ করেছিলো কৃষকরা। এবার তাদেরকে দিয়ে ওই চরে আউশ ধানের আবাদ করাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই চরটিতে আউশ ধানের আবাদ করানোর লক্ষ্যে ২৫ জন কৃষকের মাঝে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। প্রতি জনকে ৫ কেজি করে আউশ বীজ ধান, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিস্তৃত চরে আউশ ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক। এই চরের এক হেক্টর জমিতে বোনা আউশ ধানের চাষ করেছেন কৃষক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, সম্প্রতি বোরো ধান ঘরে তুলেছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে কর্ণফুলীর চরে পুরোদমে আউশ আবাদে নেমে পড়ছেন। এখন পর্যন্ত এক হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ করেছেন। অন্যান্য জমিতে বোরো ধান কর্তন শেষ হলে আরো ২–৩ হেক্টর জমিতে আউশ ধান বুনবেন বলে জানান তিনি। এই চরের অন্যান্য কৃষকরা জানান, তাদের ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এই প্রথম মত আউশ আবাদ করতে যাচ্ছেন। যদি তারা এবার লাভবান হন তবে আগামী বছর থেকে পুরো চরেই আউশ আবাদ করবেন।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, ইতোপূর্বে চরটির ৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ করিয়েছিলাম। এবার ২৫ জন কৃষককে আউশ আবাদের জন্য প্রণোদনা বীজ ও সার দেয়া হয়েছিলো। তাদের পরামর্শ ও সার্বিক সহায়তা দিয়ে আবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আশাকরি সবজির ন্যায় আউশেও ভালো ফলন পাবেন কৃষকরা। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।