কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করুন

৩ থানার ওসিকে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১০ মে, ২০২৫ at ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী ও দেশের নদনদী রক্ষায় ১৯তম ‘সাম্পান খেলা ও চাঁটগাইয়া সংস্কৃতি মেলা ১৪৩২ বাংলা এর তিন দিনের অনুষ্ঠান মালার দ্বিতীয় দিন ‘সাম্পান শোভাযাত্রা’ সম্পন্ন হয়েছে।

গতকাল ৯ মে বেলা ১১টায় নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে শুরু হওয়া সাম্পান শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিএনপি দক্ষিণ জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী আব্বাস।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিএমপি পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো রকমের কার্পণ্য করা হবে না। তিনি কোতোয়ালী থানা, সদরঘাট ও বাকলিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা নাই এমন সব স্থাপনা যেন দ্রুত উচ্ছেদ করা হয়। আদালতের কোনো নির্দেশনা না থাকলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে একদিনও দেরি করা হবে না। তিনি বলেন, এই নদী দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে শুধু তাই নয়। ৯০ শতাংশের বেশি আমদানি রপ্তানি এই নদী দিয়ে হয়। তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাম্পান মাঝিদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা নদী রক্ষায় আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। এতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়ে নদী দখল দূষণ থেকে বিরত থাকবে।

তিনি বলেন, সাম্পান শোভাযাত্রা একটি অভিনব আন্দোলন। জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা হলো। এই ধরনের সামাজিক আন্দোলন সত্যি প্রেরণাদায়ক। উদ্বোধনী বক্তব্যে মো. আলী আব্বাস বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নামেবেনামে অবৈধভাবে যারা কর্ণফুলী দখল করেছেন তারা নিজে থেকে সরে গিয়ে কর্ণফুলীকে তার স্বমহিমায় প্রবাহ হতে দিন। না হয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনগণকে সাথে নিয়ে আপনাদের নদীর অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে বাধ্য করবে। তখন নিজেদের সম্পদ যাওয়ার পাশাপাশি কালো মুখোশও জনগণের সামনে উন্মুক্ত হবে।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান। তিনি বলেন, কর্ণফুলী ও দেশের নদ নদী রক্ষায় বৃহত্তম এই সামাজিক আন্দোলন অনেক ঘাটে মাঝিদের পেশা টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করেছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীকে দখল মুক্ত করতে এই আন্দোলন চলবে।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাম্পান খেলা ও চাঁটগাইয়া সংস্কৃতি মেলা ১৪৩২ এর প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, মীর্জা ইসমাইল, ইঞ্জিনিয়ার মির্জা ইসমাইল, ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ, এম মাইন উদ্দিন চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ মুছা, এম সেলিম খান, জাফর আহমদ লোকমান দয়াল। আরো বক্তব্য রাখেন মির্জা বাহার, গিয়াস উদ্দিন ফয়সাল ফারুকী, আবুল হোসেন, শাহ আলম, বছির আহমদ, কোরবান আলী, মোহাম্মদ আলী, দেলোয়ার হোসাইন, মুছা সিকদার, মাহবুব আলম, সিরাজুল ইসলাম, দোস্ত মোহাম্মদ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো বিরল জাতের মরা পরপইস
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬